ভয়ঙ্কর সর্বভুক প্রাণী
নূরুল আনাম (মিঠু) : এটি দীর্ঘদিন ধরে অজ্ঞাত ছিল। অর্থাৎ এই প্রাণীটির মৌলিক তথ্য কিছুদিন আগেও সাধারণ মানুষ তো বটেই প্রাণী বিজ্ঞানীদেরও অজানা ছিল। বিকট দর্শন ও আকৃতি বিশিষ্ট এই প্রাণীটি যে কাউকে আতঙ্কিত করার জন্য যথেষ্ট। আর এর বসবাস মানুষের বোধগম্য সীমার মধ্যে নয়। অর্থাৎ এটির বসবাস সাগরের অন্তত ৩ হাজার ফুট নিচে। এর নাম ইউলাগিসকা। একমাত্র এন্টার্কটিকা মহাদেশের তলদেশেই এর বসবাস। এর ছবি দেখলে মনে হতে পারে যে, এটি বুঝি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ভিত্তিক চলচ্চিত্রের ভিনগ্রহের কোন প্রাণী। এমনই শারীরিক গঠন এদের। যেন দুঃস্বপ্নে দেখা কোন জীব। এর শারীরিক গঠনেও রয়েছে নানাবিধ বৈচিত্র্য। এখনও এটাকে অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ প্রাণী বিজ্ঞানিদের পরিচয় নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। কেননা এর শারীরিক গঠনেও রয়েছে নানাবিধ বৈচিত্র্য। মূল দেহ কাঠামো পাতলা আস্তরণে আবৃত। সাগরের তলায় অবস্থিত পাথরের গায়ে আটকে থেকে অথবা বালির ভিতর লুকিয়ে থেকে শিকারের জন্য ওঁৎ পেতে থাকে। এর শিকারের প্রবণতাও বেশ অদ্ভুত। আর তা হল শিকার ধরার পরও আবার সে শিকারের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। খাবারের ব্যাপারে আবার এর কোন রকমের কোন শুঁচিবাই বা বাছবিচার নেই। যা দেখে বিজ্ঞানীরাও হতবাক। প্রাণী বিজ্ঞানীরা একে ‘এলিয়েন ওয়ার্ম’ বলে ডাকতেই বেশি পছন্দ করেন। আগেই বলা হয়েছে যে, কিছুকাল আগেও এটি অনাবিষ্কৃত ছিল। আবিষ্কৃত হওয়ার পর দীর্ঘদিন লেগেছে এর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে। তবে এর বিকট চোয়াল সত্যিই ভয়ঙ্কর। শিকারী এই প্রাণী কতটা বিপজ্জনক তা এর চোয়াল দেখলেই বোঝা যায়।