ফ্লাইট ল্যান্ডে বিঘœ ও নিরাপত্তাজনিত কারণে দিনাজপুরে আসলেন না স্পীকার
দিনাজপুর অফিস : আবহাওয়া জনিত কারণে ফ্লাইট ল্যান্ড করতে না পারায় দিনাজপুরে আসেননি জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে আবার আসার চেষ্টা করলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে আসতে পারেননি বলে স্মরণ সভায় জানিয়েছেন সভার আয়োজক এম. আব্দুর রহিম সমাজকল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক চিত্ত ঘোষ। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় একই ফ্লাইটে প্রধান অতিথি স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েছিলেন। কিন্তু আবহাওয়া জনিত কারণে সৈয়দপুরে ফ্লাইট ল্যান্ড করতে পারেনি। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ১০টায় আবার আসার জন্য প্রস্তুতি নিলে নিরাপত্তা বাহিনী স্পীকারকে নিরাপত্তা সংকটের কথা বলেন। সেজন্য তারা আর উপস্থিত হতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে তারা এম. আব্দুর রহিমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পুনঃব্যক্ত করেছেন। গতকাল শুক্রবার দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে এম. আব্দুর রহিমের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এ তথ্যগুলো জানানো হয়। অনুষ্ঠানের অপর বিশেষ অতিথি থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর। কিন্তু তিনিও দেশের বাইরে রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাই তাঁর উপস্থিতিও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রধান অতিথি ও ২ জন বিশেষ অতিথির উপস্থিতি ছাড়াই সম্পন্ন হলো এই স্মরণ সভা।
এম. আব্দুর রহিম সমাজকল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত কেন্দ্রের সভাপতি এ্যাডঃ আজিজুল ইসলাম জুগলুর সভাপতিতে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, মরহুম এম. আব্দুর রহিমের বড় ছেলে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুরের প্রবীণ আইনজীবী এ্যাডঃ মুহাম্মদ ইছাহক, দিনাজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হোসেন শহীদ আহমেদ, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এম. আব্দুর রহিম সমাজকল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের কার্যকরি সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র সফিকুল হক ছুটু। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক চিত্ত ঘোষ। অনুষ্ঠানে শ্রোতার আসনে বসে ছিলেন, মরহুম এম আব্দুর রহিমের ছোট ছেলে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বজলুল হক, মো. আলাউদ্দিনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
স্মরণ সভায় মরহুম এম. আব্দুর রহিমের বড় ছেলে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সবাইকে তুই বা তুমি সম্বোধন করলেও কয়েকজনকে শুধু আপনি সম্বোধন করতেন। তার মধ্যে ছিলেন আমার পিতা এ্যাডঃ এম. আব্দুর রহিম। তিনি আমার পিতাকে রহিম সাহেব বলতেন। বঙ্গবন্ধুও মনে করতেন-এই লোককে সম্মান দেয়া প্রয়োজন। তাই তিনি সম্মান দিয়েই কথা বলেছেন। আমার পিতা এম আব্দুর রহিম ছিল সকল প্রকার লোভ-লালসার উর্ধ্বে। তিনি নিজের পৈত্রিক সম্পদ বিক্রি করে রাজনীতি করেছেন।