শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সাধারণ রোগীর মতোই টিকিট কেটে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

গাজীপুর সংবাদদাতা : গাজীপুরে মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে সাধারণ রোগীর মতোই শনিবার টিকিট কেটে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে এর আগেও চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন তিনি। সকাল ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালটিতে পৌঁছালে হাপাতালের সিইও জাইতুন বিনতি সুলাইমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুরের তেঁতুইবাড়িতে অবস্থিত  শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর রক্ত, আলট্রাসনোগ্রাম, এক্সরের মতো নিয়মিত কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। খালি পেটে রক্ত দিয়ে হাসপাতালেই নাস্তা করেন প্রধান মন্ত্রী। হাসপাতালে প্রায় আড়াই ঘন্টা অবস্থানের সময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা হাসপাতালের চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এই হাসপাতালের খন্ডকালীল চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত, অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নুরুল হক, অধ্যাপক ডাঃ এ বি এম আব্দুল্লাহ, হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ সিইও জাইতুন বিনতি সুলাইমান, মেডিকেল ডিরেক্টর ডাঃ রাজীব হাসান, কনসালটেন্ট বৃন্দ। এরপর চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন দুই বোন। ২০১৩ সালের ১৮ নবেম্বর মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান কেপিজের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে গিয়ে একজন সাধারণ রোগীর মতই টিকেট কেনা থেকে শুরু করে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। 

এর আগে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি যদি কখনও অসুস্থ হয়ে পড়ি তাহলে আপনারা আমাকে বিদেশে নেবেন না। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওঠাবেন না। আমি দেশের মাটিতেই চিকিৎসা নেব। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেব।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্বমানের এই হাসপাতাল রয়েছে আধুনিক সব যন্ত্রপাতিসহ স্বনামধন্য ডাক্তারবৃন্দ, মালয়েশিয়ার নার্স, রয়েছে মেডিসিন বিভাগ, নিউরোমেডিসিন, স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি, জেনারেল এন্ড ল্যাপারোস্কপিক সার্জারী, শিশু রোগ, চক্ষু বিভাগ, নাক কান গলা বিভাগ, মাইক্রোবায়োলজি, রেডিওলোজি ও ইমেজিং, চর্ম, অ্যালার্জি ও ভিডি রোগ, হাড় ও আঘাত জনিত রোগ, হৃদরোগ রোগ, এ্যানেস্থেসিয়া, গেস্টোএন্টালজি ও হেপাটলজি, ডায়ালাইসিস, কিডনী রোগ, ইউরোলজি, প্যাথলজি বিভাগ। 

বিশেষায়িত এই হাসপাতালটি এ বছরের মধ্যে বিশ্বের অন্যান্য নামি-দামি হাসপাতালের ন্যায় আইএমএস (ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে। যা রোগীদের কাছে আরও অধিকতর আস্থাভাজন করে তুলবে। হাসপাতালটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো দেশখ্যাত বিভিন্ন ডাক্তার রোগী দেখতে বসেন নিয়মিত। এমনকি মালয়েশিয়ার বিখ্যাত ডাক্তাররাও বসেন এখানে। সেবা সমূহের মধ্যে ২৪ ঘন্টা জরুরী বিভাগ, ২৪ ঘন্টা এ্যাম্বুলেন্স, ৪ ডি আল্ট্রাসাউন্ড, এম আর আই (১.৫ টেসলা), সি টি স্ক্যান (১৬০ ¯¬াইস), বি এম ডি, আই সি ইউ, সি সি ইউ, অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার, ক্যাথ ল্যাব, ২৪ ঘন্টা প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টি, হেমোডায়ালাইসিস, ২৪ ঘন্টা ফার্মেসী, ফিজিওথেরাপি, কনসালটেন্ট অপিডি ক্লিনিক, ২৪ ঘন্টা ল্যাবরেটরি সার্ভিস, ২৪ ঘন্টা ব্লাড ব্যাংক সার্ভিস, ডায়টারি, রোগীর অতিথি ভবন, ক্যাফেটেরিয়া। ভবিষ্যতে এই হাসপাতালটি মান সন্মত সেবা দিতে আর ও কিছু সেবা নিয়ে আসবেন নিয়মিত রোগীদের জন্য। ইতোমধ্যে সকলের আস্থাভাজন হয়েছে এই হাসপাতালটি রোগীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এর জন্য।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ