শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শনে মার্কিন মন্ত্রীকে বাধা!

১৬ সেপ্টেম্বর, রয়টার্স: রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের মধ্যে মানবিক সঙ্কট তৈরির প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ এবং ত্রাণ ও মানবাধিকারকর্মীদের ঢুকতে দিতে চাপ তৈরির উদ্দেশ্যে মায়ানমার সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্র উপ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিক মারফি। কিন্তু তাকে রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শনে যেতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
বার্তা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন চলার মধ্যে মায়ানমার সফররত যুক্তরাষ্ট্রের এ মন্ত্রীকে রাখাইনের মংডু জেলার কোনো স্থানে যেতে দেওয়া হবে না বলে শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করলেও রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর সেনা নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
মায়ানমারের কর্মকর্তারা বলছেন, প্যাট্রিক মারফি রাজধানী নে পি দোতে সরকারি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে সু চির ভাষণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন।
রাখাইন রাজ্যের রাজধানী শিডউয়েও সফর করতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের এই যুক্তরাষ্ট্র উপ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে রাজ্য গভর্নরের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হতে পারে বলে রয়টার্সকে জানান রাজ্য সরকারের সচিব তিন মং স্যি।
কিন্তু ২৪ অগাস্টের পর সেনা অভিযান চলা রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের মংডু জেলা পরিদর্শনের বিষয়ে মং স্যি বলেন, সেখানে(যাওয়ার) অনুমতি পাবেন না তিনি।
মংডুতে ত্রাণ কর্মীদের যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়নি বলে শুক্রবার মায়ানমার বললেও সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পরিস্থিতির কারণে ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ রয়েছে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, রাখাইনে সেনা সদস্যরা তাদের নির্বিচারে হত্যা করছে, জ্বালিয়ে দিচ্ছে ঘর।
শুক্রবারও রাখাইনের নয়ানচুয়াং গ্রামের ৩০টি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে মায়ানমারের সরকারি পত্রিকা নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে।
পুড়ে যাওয়া সবগুলো ঘর রোহিঙ্গাদের বলে সংবাদ প্রতিবেদনে জানানো হলেও কীভাবে তা পুড়েছে, তা নিশ্চিত করা হয়নি।
সাম্প্রতিক সেনা অভিযান শুরুর পর গত তিন সপ্তাহে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এ ধরনের সেনা অভিযানকে ইতোমধ্যে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের যথাযথ দৃষ্টান্ত’ বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ