শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

নতুন দুটি ব্যাংক অনুমোদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আপত্তি

স্টাফ রিপোর্টার : নতুন দুটি ব্যাংক স্থাপনে আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয় আরো দুইটি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দিতে চায়। এই ব্যাংক দুইটি হচ্ছে- নড়াইলের মো. জসিম উদ্দিনের বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এবং নিউইয়র্ক নিবাসী সন্দ্বীপের এম এ কাশেমের পিপলস ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। এজন্য প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনও দিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এই মুহূর্তে দেশে আর কোন নতুন ব্যাংকের প্রয়োজন নেই। আর যে প্রক্রিয়ায় এই ব্যাংক দুইটির অনুমোদন চাওয়া হচ্ছে তাতে সরকার ও কেন্ত্রীয় ব্যাংকের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হবে বলে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ৬৩টি তফসিলি ব্যাংক রয়েছে।
এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক নোটিশে বলা হয়েছে, দুইটি বাণিজ্যিক ব্যাংক দেয়ার প্রস্তাব করছি। অক্টোবর ২০১৩ সালে ১১টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে লাইসেন্স দেয়া হয়। সেই সময়ে যেসব ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে গৃহীত হয় তার মধ্যে ভুল করে পিপলস ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডকে চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করা হয়নি। তাই এই ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। আর বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের লাইসেন্স দেয়ার প্রস্তাবও করা হয়েছে। কারণ ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্ত্রীর নামে তার পৈত্রিক বাড়িতে একটি দাতব্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সেই হাসপাতালের পুনঃপৈনিক ব্যয় নির্বাহের জন্য এই ব্যাংকটি তাদের সিএসআর কার্যক্রমের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তাই এই ব্যাংকটিরও লাইসেন্স দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০১৩ সালে নতুন ব্যাংক অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হলে সংসদ ও সংসদের বাইরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত একাধিকবার বলেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকার বেসরকারি ব্যাংকের অনুমতি দিতে যাচ্ছে।
জানা গেছে, নতুন দুইটি ব্যাংক অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বরের পত্র, প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে ২০১৭ সালের ২৬ তারিখের পত্র এবং ২০১৭ সালের ৯ আগস্টের পত্রের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের পর্যালোচনায় বলেছে, প্রস্তাবিত বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এবং পিপলস ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের আবেদন পত্র দুটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক পেয়েছে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই আবেদন পত্র দুটির বিপরীতে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠবে। যার ফলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশংকা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা যায়। তাছাড়াও, বর্তমানে তফসিলি ব্যাংকগুলোর সার্বিক অবস্থা ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ মুহূর্তে ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নতুন কোন কনভেনশনাল কিংবা শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ