বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি শত বছর পার করেছে

চারঘাট (রাজশাহী): বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা: বঙ্গ ভঙ্গের পর বাংলা আর আসাম প্রদেশের জন্য একটি পৃথক পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের প্রয়োজন দেখা দেয়। প্রদেশের রাজধানীর সাথে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল ছিল না বলে ঢাকায় সেটি নির্মাণ কারার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। মেজর চামনী স্থান নির্ধারণের জন্য নৌ পথে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। অবশেষে চারঘাটের স্টীমার ঘাটে এসে পৌছালে তিনি একানকার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হন। সারি সারি আম গাছ আর ডাচদের স্থাপত্য তাঁকে আকৃষ্ট করে। নীল ব্যবসায়ীরা এখানে তাদের ব্যবসার জন্য অনেক ভবন নির্মাণ করেছিল। ১৮৩৫ সাল থেকে এখানে রবার্ট ওয়াটসন এন্ড কোম্পানীর ব্যবসায়ীক দপ্তর ছিল। সব মিলিয়ে তাঁর রাজশাহ জেলা শহর থেকে ২০ মাইল দূরে অবস্থিত সারদা স্থানটিকে বেশ মনে ধরে।  তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে এখানে পুলিশ সেন্টার নির্মাণের সুপারিশ করেন। তখন ভারতের ভাইসরয় ছিলেন লর্ড হার্ডিঞ্জ। ১৯১০ সালে মেদীনিপুর এস্টেটের কাছ থেকে ব্রিটিশ সরকার ১৪২.৬৬ একর সম্পত্তি ২৫০০ টাকায় কিনে নেয়। ১৯১২ সালের জুরাই মাসে শুরু হয় একাডেমীর কাজ। মেজর চামনী ছিলেন প্রথম প্রিন্সিপ্যাল। ২০০ আসন বিশিষ্ট কুটিবাড়ি আকৃতির কাঠামোতে এটি প্রতিষ্ঠিত। এখানে আছে অধ্যক্ষের বাংলো এবং এসপি, অতিরিক্ত এসপি, এএসপি, নতুন প্রশিক্ষাণার্থী, মহিলা অফিসার, ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট এবং প্রধান কন্সটেবল ও কন্সটেবল ও ভৃত্যদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা। এটি বাংলাদেশের একমাত্র পুলিশ একাডেমী। এখানে শিক্ষনবীশ পিএসসি হতে কন্সটেবল পর্যন্ত যাবতীয় পুলিশীবিদ্যা ও কলা কৌশণ শিক্ষা দেওয়া হয়। ১৯১৫ সালে ১২ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ২ জন পুলিশ সুপার, ১২ জন সাব-ইন্সপেক্টর ও ৪০০ জন কন্সটেবল নিয়ে পুলিশ একাডেমীর যাত্রা শুরু। ১৯৬২ সালে ফিল্ড মার্শাল ‘আইয়ুব খান’ সফর কালে নাম পরিবর্তন করে সারদা পুলিশ একাডেমী রাখেন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আবার নাম পরিবর্তন করে রাখ হয় ‘বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী’। বর্তমান অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজিবুর রহমান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ