শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দৌলতপুরে ওএমএস’র চাল বিক্রি শুরু হলেও প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে

 

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৩টি স্থানে ওএমএস’র চাল বিক্রি শুরু করা হলেও এর প্রভাব পড়েনি খুচরা চালের বাজারে। সবধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা কমার কথা পাইকার ব্যবসায়ীরা জানালেও খুচরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে পূর্বের চড়া মূল্যেই চাল বিক্রি করতে দেখা গেছে। জেলার সীমান্তবর্তী সর্ববৃহৎ দৌলতপুর উপজেলায় বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর বসবাস হওয়ায় নিকট দূরবর্তী মাত্র ৩টি স্থানে উপজেলা বাজার, তারাগুনিয়া ও আল্লারদর্গা বাজারে ওএমএস বা খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হলেও এর প্রভাব পড়েনি দিন মজুর বা সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। বৃহস্পতিবার সকালে পৃথক ৩ স্থানে ওএমএস’র চাল বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

এদিকে জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম রাইস মিল আল্লারদর্গা বাজারের সন্নিকটে সোনাইকুন্ডি সড়কে অবস্থিত বিশ্বাস এগ্রোফুড রাইস মিলে পূর্বের মতই চাল ও ধান মজুদ রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গত সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর রহমানের নেতৃত্বে বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্যবৃন্দ বায়জীদ বিশ্বাস এগ্রোফুড রাইস মিলে অভিযান চালিয়ে চাল বা ধানের অতিরিক্ত মজুদ আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখলেও দৌলতপুর খাদ্য কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী বিশ্বাস এগ্রোফুড রাইস মিলের ম্যানেজারের কক্ষে দীর্ঘ সময় অবস্থানের বিষয়টি সাধারণ জনমনে সংশয়ের সৃষ্টি করেছে।  এদিকে দৌলতপুরের তারাগুনিয়া বাজারের সর্ববৃহৎ পাইকার চাল ব্যবসায়ী বুলবুল আহমেদ জানান, সবধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা কমেছে।  গতকাল শনিবার আটাশ চাল প্রতি কেজি ৫৩ টাকা, স্বর্না প্রতি কেজি ৪৭ টাকা, মোটা আউশ প্রতি কেজি ৩৮ টাকা এবং মিনিকেট প্রতি কেজি ৬২ টাকা দরে তিনি বিক্রয় করেছেন। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা এসব চাল পূর্বের মূল্যেই সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করতে দেখা গেছে। আলমগীর হোসেন নামে এক ক্রেতা দৌলতপুর থানা বাজারে মোটা চাল ৪০ টাকা কেজি দরে কেনার কথা জানিয়েছেন। চাল নিয়ে চালবাজি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে চাল মজুদদার ও খুচরা চাল ব্যবসায়ীদের হাত থেকে সাধারণ ক্রেতাগণ বা ভোক্তারা ন্যায্য মূল্যে চাল ক্রয় করতে পারবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। সেই সাথে দৌলতপুরের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আরও ওএমএস ডিলার নিয়োগ দিলে দৌলতপুরবাসী উপকৃত হবেন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ