শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

৬ দিন পর নিহতের লাশ দাফন

আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের তিলোচ গ্রামের জয়দেবপুর পাড়ার ফেরদৌসি বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে ঘাতক স্বামী আল আমিন। এ ঘটনায় নিহতের লাশ ৬ দিন পর একই এলাকার সিতাহার পাড়ায় তার বাবার বাড়ী নিয়ে আসা হলে এলাকার শত শত নারী পুরুষ ওই ঘাতক স্বামীর ফাঁসির দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার যুব সমাজ থেকে শুরু করে সব শ্রেণী পেশার মানুষ। ঘাতক স্বামী আল আমিন ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার ঘটনাটি প্রথমে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার নিহত ফেরদৌসিকে বাড়ির পাশের মুরগী সেডে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকায় খবর ছড়িয়ে দেয়। তবে থানা পুলিশ মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ রহস্যজনক মনে হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় গত  রোববার সকালে ঘাতক স্বামী আল আমিনের মুরগির  সেড থেকে এক হাজার বয়লার মুরগি ও সেলিং ফ্যান হরিলুট করে এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, আদমদীঘি উপজেলার তিলোচ সিতাহার পাড়ার সৌদী প্রবাসী বিদ্যুত আলী খানের মেয়ে ফেরদৌসি বেগমের ৬ বছর পূর্বে একই এলাকার জয়দেবপুর পাড়ার জামাল উদ্দিন আকন্দের ছেলে আল আমিনের সাথে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত জীবনে ২ বছর বয়সের একটি সবিতা নামে সন্তান রয়েছে। এদিকে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এরপর ৫ মাস পর আবার সমঝোতার ম্যাধমে পুনরায় ফেরদৌসি বেগমকে বিয়ে করে আল আমিন বাড়িতে নিয়ে যায়। তবে স্বামীর পরকিয়ায় বাধা দেয়ার কারণেই আমার ভাতিজীকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন নিহতের চাচা শেরেকুল ইসলাম ।
এব্যাপারে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির বলেন, গৃহবধূ ফেরদৌসির মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় তার লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্র্ট হাতে পাওয়া গেলে এ মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে। তিনি আরও বলেন এই ঘটনায় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালনের খবরও তাঁকে কেউ জানায়নি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ