বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অন্যতম নীতি নির্ধারক

৮ অক্টোবর, আরব নিউজ : বহু দশক ধরে সৌদি আরব আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। ২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ সেই ধারা থেকে সরে আসতে চাইছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন মিত্র খোঁজ করছেন। সেই সূত্র ধরে বাদশাহ সালমানের ‘ঐতিহাসিক’ রাশিয়া সফর এবং অস্ত্র কেনার চুক্তি।অতীতে বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়া ও সৌদি আরব বিবদমান পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সর্বশেষ সিরিয়া সংঘাতেও ভিন্ন অবস্থান নেয় মস্কো ও রিয়াদ। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ।
যুক্তি ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা ইসলামবিরোধী। গত শতকের আশির দশকে পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে আফগানিস্তানে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল সৌদি আরব। শ সমর্থনপুষ্ট সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার-আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার আশা ছেড়ে দিয়েছে সৌদি আরব। এর ফলে রাশিয়া সম্পর্কেও নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে রিয়াদ।বাদশাহ সালমানের মস্কো সফর ইঙ্গিত দিচ্ছে, দুই দেশ নিজেদের মধ্যকার সম্পর্কের ব্যাপারে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। রাশিয়া চাইছে সিরিয়ায় ‘সংঘাতমুক্ত এলাকা’ প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব সহযোগিতা করবে। আর নিজেদের আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ ইরানকে কোণঠাসা করতে রাশিয়ার সহযোগিতা চাইতে পারে সৌদি আরব।সৌদি আরবের গণমাধ্যম আরব নিউজ-এর প্রধান সম্পাদক ফয়সাল জে আব্বাসের মতে, ‘আমরা এটা অস্বীকার করতে পারি না যে রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অন্যতম নীতিনির্ধারক হয়ে উঠেছে।’
২০১৪ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম কমেছে। সৌদি আরবের অর্থনীতিতে তেলের ভূমিকা অনেক। তেলের উৎপাদন হ্রাস নিয়ে আলোচনা দুই দেশকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ