শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আমতলীতে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের সদস্যরা হয়রানির শিকার

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা: বরগুনার আমতলীতে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের এক মাঠকর্মী ও উপজেলা ব্যবস্থাপকের সেচ্ছাচারিতার কারণে হয়রানীর শিকার হয়ে ঋনের জন্য  ২ মাস মাস ঘুরছেন রাস্তায় রাস্তায়  দু’টি সমিতির ১২০ জন সদস্য। জানা গেছে, আমতলী উপজেলা  একটি বাড়ী একটি খামার  প্রকল্পের অধীন চাওড়া পাতাকাটা একটি বাড়ী একটি খামার উন্নয়ন সমিতি ও চাওড়া ঘটখালী একটি বাড়ী একটি খামার উন্নয়ন সমিতির ১২০ জন সদস্য  ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাস থেকে  মাঠকর্মকর্তা মনিকা রানীর কাছে  যথা নিয়মে   ২০০ টাকা করে সঞ্চয় জমাদেন।  দীর্ঘ নয় মাস সঞ্চয়ের টাকা জমাদিলেও ঐ মাঠ কর্মকর্তা  ২৭ সেপ্টেম্বর ঋন প্রস্তাব উপজেলা অফিসে জমা দেন।
বুধবার দুপুরে  সমিতি দুটির ১২০ জন্য সদস্য ঋনের টাকা নেয়ার জন্য আমতলী উপজেলা একটি বাড়ী একটি খামার অফিসে আসেন। কিন্তু  উপজেলা ব্যবস্থাপক প্রদীপ হাওলদার সদস্যদের জানান, তাদের নামের ঋন মঞ্জুর হয়েছে  কিন্তু হেড অফিসে   টাকার চাহিদা  পাঠাতে না পারায়  ঋন বিতরন করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান।
যখন সদস্যরা এ বিষয়  উপজেলা ব্যবস্থাপকের কাছে  চাহিদা না পাঠানোর  কারণ কি জানতে চাইলে ঐ মাঠ কর্মকর্তা  মনিকা  রাণী  সদস্যদের  সাথে খারাপ আচরন করেন।
চাওড়া পাতাকাটা সমিতির সভাপতি বাবুল মিয়া বলেন মোরা  ৮০ জন মহিলা সহ সমতির ১২০ জন সদস্য  ১০ হাজার টাকা ঋনের জন্য ৬/৭ দিন আমতলী অফিসে আইছি । মাঠকর্মকর্তা মনিকা রানীর কথা মত অফিসে আসার পর অফিসের লোকজন বলে ঋন  আজ দেওয়া যাবেনা। 
চাওড়া ঘটখালী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম  বলেন ২  মাস ধরে ঋনের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি।  মাঠ কর্মকর্মকর্তা মনিকা রানীর কাছে লোন পাস  হয় নাই কেনো জিজ্ঞেস করলে তিনি খারাপ ব্যবহার করেন। হেই জন্য উপজেলা  স্যারের (উপজেলা ব্যবস্থাপকের) কাছে বলছি
হেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তবে সঞ্চয়ের টাকা মনিকা রাণী  নিজে পকেটে রেখে দেরিতে ঋণ প্রস্তাব দিছেন বলে সদস্যরা জানান।
চাওড়া পাতাকাটা সমিতির সদস্য শাহ আলম বলেন, সমিতি থেকে ঋণ প্রস্তাব নেয়ার পর ১ মাস পর মনিকা রানী ঋন প্রস্তাব অফিসে জমা দিয়েছেন। হাসিনা, নজরুল ইসলাম, জেসমিন, ঘটখালী সমিতির  শাহিদা মমতাজ. শিউলি . হালিমা, সালেহা বেগম বলেন মোরা দুই সমিতির ৮০ জন মহিলা সদস্য তার মধ্যে বেশ কয়েকজন গর্ভবতী রয়েছে তাদের কে গ্রাম থেকে ৬/৭ বার আনছে টাকা দেয়ার কথা বলে মনিকা রানী এহন মোগো আর লোন লাঘবেনা ১০ হাজার টাকা লোন পামু হেইয়া নেতে আমতলী আইতে আর যাইতে হ্যা প্রায় শ্যাষ।  এ বিষয় মনিকা রানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয় কোন কথা বলবেন না বলে জানান।
এ বিষয় আমতলী উপজেলা ব্যবস্থাপক প্রদীপ হাওলাদার বলেন  ২৭ সেপ্টেম্বর ঋন প্রস্তাব পেয়ে ঋন বিতরনের জন্য সকল  কার্যক্রম চলছে। সদস্যদের সাথে খারাপ আচারন মাঠ কর্মীর এ ব্যাপারে তিনি বলেন   ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয় বরগুনা জেলা প্রশাসক মো.মোখলেছুর রহমান বলেন  তদন্ত সাপেক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ