বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বিশেষ ক্ষেত্রে ইজতেমার জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা দেয়া হবে...স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস বা মিশন নেই, সেসব দেশ থেকে টঙ্গীতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমায় আসতে চাইলে তাদের শর্তসাপেক্ষে অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘যেসব দেশে বাংলাদেশের মিশন বা দূতাবাস নেই, ওইসব দেশের ব্যক্তিরাও বিশ্ব ইজতেমায় আসতে পারেন। তবে তাদের আমাদের দেশের তাবলীগের মুরব্বিদের অনুমতি নিতে হবে। ওই অনুমতি নিয়ে তারা এলে তাদের ৩০ দিনের অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হবে। পরে প্রয়োজনে এই ভিসা বাড়িয়ে দেওয়াও যেতে পারে।’

আগামী জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে পৌনে ৪টা পর্যন্ত ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিফিং করেন।

বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন নিয়ে কোনও হুমকি রয়েছে কিনা, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও ধরনের হুমকি নেই।’ রোহিঙ্গাদের ইজতেমায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা তো বিদেশি। বিদেশিদের জন্য ইজতেমায় অংশ নেওয়ার যে নিয়ম, রোহিঙ্গাদের বেলাতেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।’

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), আনসারের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছরের ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে প্রথম পর্বের ইজতেমা, দ্বিতীয় পর্ব হবে ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি। ইজতেমায় যে বিদেশি নাগরিকরা আসবেন, তাদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমা প্রাঙ্গণে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, আনসারসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।’

মন্ত্রী জানান, ইজতেমা উপলক্ষে তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমা প্রাঙ্গণে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির নেতৃত্বে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসেরও একটি কন্ট্রোল রুম বসানো হবে। ডুবুরিসহ উদ্ধারকারীদের রাখা হবে ফায়ার সার্ভিসের টিমে।

ইজতেমায় যাতায়াত ও স্থানীয় বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আখেরি মোনাজাতের আগে ও পরে বিশেষ ট্রেন রাখা হবে। ইজতেমা চলাকালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হবে, পয়নিষ্কাশনসহ অন্যান্য সেবার যাবতীয় ব্যবস্থাও করা হবে। আটটি মেডিক্যাল টিম ইজতেমায় আগতদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করবে। এছাড়া, রেড ক্রিসেন্টের একটি টিমও থাকবে ইজতেমা প্রাঙ্গণে।

যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইজতেমা শুরুর সাত দিন আগে ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পর্কে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। বিভাগ অনুযায়ী পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা যেহেতু একটি বৈশ্বিক আয়োজন, তাই এর প্রতি সারাবিশ্বের নজর রয়েছে।’ এ কারণেই বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ