শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ঘোড়াঘাটে একই পরিবারের ৩ জন প্রতিবন্ধী ও বিধবা মায়ের মানবেতর জীবন-যাপন

 

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে একই পরিবারের ৩ জন প্রতিবন্ধীকে নিয়ে অসহায় বিধবা মা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেখার কেউ নেই। সরকারী বেসরকারীভাবে সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন প্রায় ২০ বছর পূর্বে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে মারা যান। আলতাফ হোসেনের মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রী ৪ সন্তানকে নিয়ে বহু কষ্টে লালন পালন করতে থাকেন। বড় মেয়ে শাহারা বেগমের ১৪ বছর বয়সে একই উপজেলার রামপুর টুবঘুরিয়া (শিবপুর) গ্রামে বিয়ে হয়। প্রায় ১৫-১৬ বছর বয়সে ২ সন্তান জন্ম হলে সাহারা বেগম অচেনা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। এমতাবস্থায় আরও ২টি সন্তান জন্ম হয়। পরবর্তীতে শাহারা বেগম শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়।  শাহারাকে তার স্বামী তালাক দিলে সে ৪ সন্তানকে নিয়ে মায়ের কাছে চলে আসে। মেঝ মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয় একই গ্রামে। সে ১ সন্তানের জননী। ছেলে আলমগীর ও ছোট ছেলে মহসিন একই বয়সে তারা অচেনা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়ে বিধবা মায়ের বোঝা হয়ে অনাহার অর্ধাহারে জীবন-যাপন করে আসছে। মৃত আলতাফ হোসেনের স্ত্রী রেজিয়া বেগম জানান, আমার স্বামী মারা যাবার পর থেকে আমি মানুষের বাড়ীতে কাজ কর্ম করে পঙ্গু ৩ সন্তানের মুখে কিছু দিয়ে তাদেরকে বেঁচে রেখেছি। আমার স্বামী মারা যাবার পর কিছু জমি রেখে গিয়েছিল। তাও বিক্রি করে সন্তানদের লালন পালন করছি। এখন বাড়ীর ৬ শতক জমি ছাড়া আর কিছুই নাই। সরকারীভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। এমনকি ছেলে মেয়েদের পঙ্গু ভাতা ও আমার বিধবা বা দুস্থ ভাতাও পাইনি। এ ব্যাপারে সরকারী বেসরকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রতিবন্ধীদের মা রেজিয়া বেগম।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ