বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

আগৈলঝাড়ায় কার্ডের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচী

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা: টিকাদান কার্ডের অভাবে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মাসের পর মাস ধরে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের স্বাভাবিক ইপিআই টিকাদান কর্মসূচী। হলুদ রংয়ের ওই কার্ডের অভাবে মাঠ পর্যায়ের ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে এখন সাদা কাগজে হাতে লিখে দেয়া হচ্ছে শিশুর টিকার রুটিন প্লান। অনেক জায়গায় আবার সাদা কাগজে কার্ডের ফটোকপি দিয়েও কোনভাবে কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে আগামী ২ মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশি¬ষ্টরা। বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন অফিস অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইপিআই টিকাদান কার্ড (শিশু) মূলত যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি জনিত রোগ, হাম, নিউমোক্কালজনিত নিউমোনিয়া ও রুবেলা রোগের টিকা প্রদানের সেশন প্লানের কাজে ব্যবহৃত হয়। যাকে টিকার ক্যালেন্ডারও বলা চলে। ৪২ দিন পূর্ণ হওয়া শিশুকে প্রথম টিকা প্রদানের দিন থেকে এ কার্ডটি নবজাতক শিশুর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি কার্ডটি শিশুকে স্কুলে ভর্তি করানোর সময়, বিদেশ গমনের সময়, টিডি টিকা দেয়ার সময় আর বর্তমান সময়ে জন্ম নিবন্ধনের কাজেও লাগে। যা কার্ডের গায়েও ছাপার অক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এই কার্ড নেই বললেই চলে। মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ইপিআই লোকমান হোসেন জানান, এই উপজেলার জন্য বছরে ৪ হাজার ৮শত ২৪টি কার্ডের চাহিদাপত্র বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তার অনুকূলে এবছর মাত্র ৩ শতটি কার্ড তারা পেয়েছেন। হাসপাতালের ইপিআই কেন্দ্রের সেবিকা তাহমিনা বেগম জানান, ১২৮টি টিকাদান কেন্দ্রে মাসে ২০০ থেকে ৩০০ টি নতুন টিকাদান কার্ডের প্রয়োজন হয়। গত ৩ মাস ধরে কার্ডের সংকট ব্যাপক আকার ধারন করেছে। মাঝখানে কিছু কার্ড পেয়েছিলেন তাও অল্প কয়েক দিনে শেষ হয়ে যায়। এরপর কার্ডের ফটোকপি দিয়েও টিকাদান কর্মসূচি চালিয়েছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ