বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

হরিনাকুন্ডে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ডাকাতি

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হরিনাকুন্ডু থানার কণ্যাদহ-বাসুদেবপুরের মাঝামাঝি রাস্তায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, গরু ব্যবসায়ী হরিনাকুন্ডুর বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত.আত্তাব মন্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় গরু ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ সদরের গান্না বাজারের গরুর হাটে যায়। ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ৫টি গুরু বিক্রয় শেষে ব্যবসার অংশিদার তৌফিককে ২লাখ টাকা দিয়ে সন্ধ্যার পুর্বে বাই সাইকেল যোগে নিজবাড়ির উদ্দেশ্যে আমিরুল রওনা হয়। পথিমধ্যে হরিনাকুন্ডু থানার কণ্যাদহ-বাসুদেবপুরের মাঝামাঝি রাস্তায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌঁছানো মাত্রই রামদা হাতে তিন জন দুর্ধর্ষ ডাকাত আমিরুলকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ২লাখ ৪০হাজার টাকা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। গরু ব্যবসায়ী আমিরুলের বর্ণনানুযায়ী, ঝিনাইদহ সদরের গান্না বাজারে গরু বিক্রয় শেষে নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পথিমধ্যে হরিনাকুন্ডু থানার কণ্যাদহ-বাসুদেবপুরের মাঝামাঝি রাস্তায় পৌঁছা মাত্রই রামদা হাতে তিন জনের ডাকাত দলের মধ্যে থেকে আমিরুলকে “এই দাড়া”বলেই মাথায়, পিঠে ও হাতের বাহুতে রামদা দিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। তিন ডাকাতের মধ্যে এক জনের কন্ঠ আমার চেনা চেনা লাগে। পরে একই রাস্তায় হঠাৎ একটি মাইক্রো গাড়ি আসতে থাকলে ডাকাতরা তাড়াতাড়ি করে আমার কোমরে থাকা ২লাখ ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার সময় গাড়ির আলোয় আমাদের একই গ্রাম বাসুদেবপুরের মৃত কওসারের ছেলে হায়দারকে চিনে ফেলি।
ডাকাতরা আমার কোমরে থাকা ২ লাখ ৪০ হাজার নিয়ে টাকা দ্রুত পালিয়ে যায়। আমার চিৎকারে এলাকাবাসীরা ছুটে আসে। আমার চিৎকারে স্থানীয় মানোয়ার, মান্নান ও বাবলু ছুটে আসে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমার ভাতিজা সম্রাট আমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি অজ্ঞান ছিলাম। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কর্তৃব্যরত ডাক্তার আমিরুলের মাথায়, পিঠে ও হাতের বাহুতে ১০টি সেলায় দিন। ঝিনাইদহ জর্জকোর্টে মামলার প্রস্তুুতি চলছে বলে জানায় আমিরুলের বড় ছেলে জনি। আমি আমিরুলের মুখে শুনেছি জনৈক হায়দার তাকে কুপিয়ে টাকা পয়সা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত হোসেন ঘটনা অস্বীকার করে জানান, গরু ব্যবসায়ী আমিরুলের সম্পর্কে শালী ঐ এলাকার মোছাম্মাত উজানাকে ধর্ষণ করতে গেলে, উজানা হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আমিরুলকে মারাত্মক জখম করে। পরে উজানা বাদি হয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়াও আমিরুলের চরিত্র খারাপ, ইতিপুর্বে আমিরুলকে নিয়ে তার গ্রামে বেশ কয়েকটি শালিশ বিচার হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ