শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বেতন ভাতা বঞ্চিত ৩২ শিক্ষক কর্মচারীর মানবেতর জীবন যাপন

কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা: যশোরের কেশবপুরের দক্ষিণ বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ হিজলডাঙ্গা শহীদ ফ্লাইট লেঃ মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানাবিধ সমস্যায় এর পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অপরদিকে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন বিএম, কৃষি ডিপে¬ামা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক শাখার ৩২ শিক্ষক কর্মচারী দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এরপরও এক সময়ের যশোর শিক্ষা বোর্ডের সেরা ১০টি কলেজের মধ্যে স্থান করে নেয়া বৃহৎ এ প্রতিষ্ঠানটি পাশের হারের দিক দিয়ে এখনও কেশবপুরের শীর্ষে অবস্থান করে তার অতীত ঐতিহ্য ধরে রেখে চলেছে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিকার চেয়ে বারবার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হলেও অদ্যাবধি কোনো সাহায্য মেলেনি।
কলেজের অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দক্ষিণে উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম হিজলডাঙ্গা।  এ গ্রামের কৃতি সন্তান ফ্লাইট লেঃ মাসুদ আকস্মিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। লেঃ মাসুদের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে তার পিতা কেশবপুরের সাবেক সংসদ মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন পৈত্রিক প্রায় সাড়ে ৩ একর জমির ওপর ১৯৯৭ সালে হিজলডাঙ্গা শহীদ ফ্লাইট লেঃ মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। আশপাশে আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কলেজটি সুনামের সাথে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা বিস্তার করে চলেছে। ওই বছরেই কলেজটির যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি শাখা এমপিওভূক্ত হয়। ওই সময় এলাকাবাসি ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের প্রচেষ্টায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (ঢাকা) অধীন এইচএসসি (বিএম), কৃষি ডিপে¬ামা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক শাখা খোলা হয়।
এ চারটি শাখায় বর্তমান এক হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। এ তিনটি শাখার শিক্ষার্থীরাও ফলাফলের দিক দিয়ে ধারাবাহিক সাফল্য দেখিয়ে চললেও এসব শাখার ২৫ জন শিক্ষক ও ৭ জন কর্মচারী দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিনা বেতনে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে চলেছেন। দীর্ঘদিন বেতন ভাতা না পেয়ে এসব শিক্ষক, কর্মচারীর পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। কলেজটি প্রতিষ্ঠার সময় এর দু‘পাশ দিয়ে ২৫ রুম বিশিষ্ট টিন সেডের আধাপাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। একই সময়ে সরকারিভাবে একটি দ্বিতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হলেও প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানি ওঠার কারণে ওই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ ১৫ বছরেও টিন সেডের ভবন দুটি পুনঃসংস্কার না হওয়ায় এর টিন মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। কলেজ ফান্ডে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় এসব শ্রেণীকক্ষের দেয়াল, দরজা, জানালা, বেঞ্চসহ আসবাবপত্র জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া অর্থাভাবে কৃষি ডিপে¬ামা ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ