শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নিরাপত্তা ছাড়া মিয়ানমারের জালিমদের হাতে রোহিঙ্গাদের ঠেলে দেয়া যাবে না -মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক

গতকাল শুক্রবার আইডিইবি মিলনায়তনে খেলাফত মজলিস ওয়ার্ড প্রতিনিধির সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক -সংগ্রাম

খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, মিয়ানমার একটি অমানবিক রাষ্ট্র। তারা নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বরোচিত হত্যা, জুলুম, নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।  বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে মিয়ানমার সরকারের নেত্রী সূ চি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলছে। অথচ এখনো লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলামান প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এদেশের মানুষ এক বেলা খেয়ে এক বেলার খাবার রোহিঙ্গাদের দিবে, তবু তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া যাবে না। পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা ছাড়া মিয়ানমারের জালিমদের হাতে রোহিঙ্গাদের ঠেলে দেয়া যাবে না। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-এর মাল্টিপারপাস হলে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সৈয়দ মুজিবর রহমান, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল,  মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইলিয়াস আহমদ, ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সাহাব উদ্দিন আহমদ, হাজী নূর হোসাইন, মাওলানা আজিজুল হক, মোঃ রমজান আলী, আবদুল গাফফার, মাওলান মুহাম্মদ ইব্রাহীম, এবিএম শহীদুল ইসলাম, এস এম শরীফ মাহমুদ, মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা মো: সামসুজ জোহা, মো: আমজাদ বেলাল, মাওলানা মেজবাহ উদ্দিন, মাওলানা আনিসুর রহমান, শামসুল ইসলাম।
ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম তুহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাব পেশ করেন মোঃ আবুল হোসাইন, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, মো: ফয়জুল ইসলাম, মো: হারুনূর রশীদ, কাজী আরিফুর রহমান, মোঃ সেলিম হোসাইন।  
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মো: মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কে এম আলম, মাওলানা নূরুজ্জামান খান, ডাঃ কে এম নজরুল হক, মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী, মাওলানা আহমদ বিলাল, মাস্টার রওশন আলী, ঢাকা মহানগরীর সহসভাপতি মাওলানা নূরুল হক, ডাঃ রিফাত হোসেন মালিক, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মোঃ হুমায়ুন কবির আজাদ, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা ওজায়ের আমীন প্রমুখ।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, দেশ-জাতি আজ নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু আজকে যারা ক্ষমতায় বসে আছেন বা দেশ চালাচ্ছেন তারা চলমান সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন। দেশে হত্যা, গুম, ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। আমরা দাবি করে আসছি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার পরাজয়ের ভয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিবে না। তাই এ দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম ও আন্দোলনে অবতীর্ণ হতে হবে।
সভাপতির বক্তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সর্বনি¤œ পর্যায়ে থাকলেও আমাদের দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হচ্ছে না। বাজারে এক দিকে ভেজাল পণ্যের ছড়াছড়ি অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সমাজের সর্বস্তরে অমানবিকতা, অশান্তি ও দুর্নীর্তি যেভাবে বেড়েছে তা সচেতন মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। অশ্লীলতা, বেহাপনা আর সর্বব্যাপী বিস্তৃত  মাদকের ভয়াবহতা  এখন চরমে পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী প্রজন্মের হাতে আমরা কেমন বাংলাদেশ তুলে দিতে পারব তা নিয়ে সচেতন অভিভাবরা শংকিত।
সম্মেলনে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা, যানজট ও গণপরিবহনে নৈরাজ্য প্রসঙ্গ, চাল, ডাল ও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গ, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা ও দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গ, অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি প্রসঙ্গ, সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি প্রসঙ্গ, বেকারত্ব ও আর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা প্রসঙ্গ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক করা প্রসঙ্গে ৭টি প্রস্তাব গ্রহীত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ