শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নগরীতে ইজিবাইকে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চালক নিহত

খুলনা অফিস : খুলনা মহানগরীর লবণচরা থানাধীন আমতলা এলাকায় ইজিবাইকে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আলাউদ্দিন (৩৫) নামের একজন চালক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লবণচরা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানাধীন আমতলা এলাকার আ. ছামাদের ছেলে নিজের ইজিবাইক বাড়িতে চার্জ দিতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত হন। নিহতের লাশ খুমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

একজন নিহত ॥ অপরজন হাসপাতালে : দিঘলিয়ায় দুই তরুণ প্রতিযোগিতা করে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় জহির মিয়া (২০) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছে। আহত অপর তরুণ নুরুদ্দীন হাওলাদারকে (২০) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট-আড়ুয়া সড়কের  কেবলঘাট নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জহির মিয়া দিঘলিয়া উপজেলার ঘোষগাতী গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে এবং আহত নূরুদ্দীন একই গ্রামের ফিরোজ হাওলাদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দু’টি থানায় আনা হয়েছে।

পরস্পরবিরোধী অভিযোগ : একটি নোটিশকে কেন্দ্র করে সরকারি বিএল কলেজে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী রাজপথের বিরোধীদল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যদিও বিষয়টিকে ঘিরে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ি করে পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করছে।

এদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতায় আপাতত বিষয়টি নিরসনের দাবি করা হলেও ছাত্রলীগের বেপরোয়া কর্মকান্ডে ছাত্রদল জিম্মি রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এর আগে বিএল কলেজের ছাত্রদলের সকল নেতা-কর্মীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা এবং হোস্টেল ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে বুধবার নোটিশ দেয় ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগ বিএল কলেজ শাখা প্যাডে দেয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয় ‘অনৈতিক, অসামাজিক, মিথ্যাচার ও সম্মানহানী কার্যকলাপের জন্য বিএল কলেজের ছাত্রদলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হল। কলেজ হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্রদলকে বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগ করতে বলা হল’। বুধবার সকাল থেকে কলেজের সকল হোস্টেলে এ নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ ছড়িয়ে পড়ার পর কলেজে উত্তেজনা শুরু হয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা টহল দেয়া শুরু করে এবং ছাত্রদলের পোস্টার-প্যানা ছিঁড়ে ফেলে।

ছাত্রদলকে কলেজ ছাড়া করার নেপথ্য ঘটনা অনুসন্ধানে জানা গেছে, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিব মোড়ল কলেজের একটি জায়গা দখলের চেষ্টা করেন। যা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। বিষয়টি পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হলে গাত্রদাহ শুরু হয় ছাত্রলীগের। এর জের হিসেবেই তারা ছাত্রদলকে ক্যাম্পাস ছাড়া করার উদ্যোগ নেয়। ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধ উৎস থেকে অর্থ গ্রহণসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও কলেজ অধ্যক্ষকে দিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি তার বিরুদ্ধে ওঠা জমি দখলের অভিযোগের প্রতিবাদ দিতে বাধ্য করিয়েছেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ।

বিএল কলেজ ছাত্রদল নেতা রিয়াজ শাহেদ বলেন, হোস্টেলের মধ্যে গিয়ে নেতা-কর্মীদের ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয়া হয়। কোন কারণ ছাড়াই ছাত্রদল কর্মীদের হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেয় তারা। এমনকি অনেকেই ভয়ে হল ত্যাগে বাধ্য হয়।

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব মোড়ল বলেন, ছাত্রদলের কর্মীরা তার বিরুদ্ধে জমি দখল সংক্রান্ত ভুল তথ্য দিয়ে পত্রিকায় নিউজ করিয়েছে। এটা নিয়ে একটু ঝামেলা হয়। শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করার পর নোটিশ অপসারণ করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

কলেজের উপাধ্যক্ষ এ কে এম আলমগীর হোসেন জানান, ‘এ ধরনের কোন নোটিশ ছাত্র সংগঠন দিতে পারে না। ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে কথা বলে পরিবেশ স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে বাস্তবে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ কতটুকু স্বাভাবিক হয়েছে- তা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংশয় বিরাজ করছে।

স্কুলছাত্রী শায়লার আত্মহত্যা : বাল্যবিবাহের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্কুলছাত্রী শায়লা আক্তার মিম (১৫)। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে খুলনা রায়েরমহলের ব্যাংকপাড়ার সেলিম শেখের বাসা হতে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে খুলনার হাজী ফয়েজউদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।

নিহত শায়লার চাচী জাহানারা বেগম জানান, তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে প্রতিবেশী রনির সাথে শায়লার বিয়ে দেয়া হয়েছিল। এরপর শায়লার অন্য একটি ছেলে নাদিমের সাথে সম্পর্কের কথা জানা যায়। এ অবস্থায় শায়লাকে বোঝানো হয়। এক পর্যায়ে গত শনিবার শায়লাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় নাদিম। থানা পুলিশকে তা জানানো হয়। পুলিশ তৎপরতা শুরু করলে মঙ্গলবার রাতে শায়লাকে ফেরত দেয়া হয়। বাসায় ফেরার পর শায়লা স্বাভাবিক ছিল না। বৃহস্পতিবার শায়লার মা নাদিরা বেগম সমিতিতে যাওয়ার ফলে বাসা সম্পূর্ণ ফাঁকা ছিল। পরে নাদিরা বাসায় ফিরে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রেজাউল করিম জানান, কয়েকদিন আগে নিহত মেয়েটির পিতা সেলিম শেখ থানায় অভিযোগ করেছিলেন তার মেয়েকে প্রতিবেশী এক যুবক জোর করে নিয়ে গেছে। এরপর পুলিশ সেই যুবকের বাসায় গিয়ে খোঁজ খবর নেয়। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে শায়লা নিজ বাসায় ফিরে আসে। আর বৃহস্পতিবার সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ