শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ভোলাহাটে ফের শিশু ধর্ষণ কথিত বিচারকের ধামাচাপার চেষ্টা

ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা : মাত্র ৩ বছরের শিশু। খেলতে পাশের বাড়ীতে গেলে ধষর্ণের চেষ্টা করে এক ৬২ বছর বয়সের বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভূজা সিরোটোলায়। ভুক্তভুগি শিশুটির বাবা সৈবুর অভিযোগ করে বলেন, তার ৩ বছরের শিশু কন্যা পাশের ইউনুসের ছেলে ৬২ বছর বয়সের বৃদ্ধ সাইফুদ্দিনের বাড়ী গত ২৯ অক্টোবর খেলতে গেলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটির প্যান্ট খুলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে। শিশুটি ভয় পেয়ে চিৎকার করলে তার মা দৌড়ে ঐ বাড়ীতে গেলে মেয়ে ভয় পেয়ে সব কথা বলে ফেলেন। বিষয়টি থানা পর্যন্ত না গড়ার জন্য স্থানীয় কথিত বিচারকেরা শিশুর বাবা-মাকে চাপ দেয়। এক পর্যায়ে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে কথিত আদালত বসিয়ে আপস করে দেয়ার নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় কথিত বিচারক ইউপি সদস্য মোস্তাক। পরে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মুশরীভূজা সিরোটোলা খালেকের গোলিবাড়ীতে ইউপি সদস্য মোস্তাক কথিত প্রধান বিচারপতি হয়ে কথিত আদালত বসিয়ে বিচার কাজ শুরু করা হয়। বিচারে সহ¯্রাধীক জনতার উপস্থিতিতে সাইফুদ্দিন শিশু ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। উপস্থিত লোকজন সাইফুদ্দিনের শিশু ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে বলেও নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় সাইফুদ্দিনের সাথে কথা বলা হলে তিনিও এ প্রতিবেদকের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে কথিত আদালতের বেঞ্চ বিচারক সাবেক ইউপি সদস্য সেন্টু, সারোয়ার মাস্টার, করিম মাস্টার, ইসমাইল সরদার, নেফাউর, মোরশেদ বাইরে রায় আনতে যায়। কিন্তু কথিত আদালতের বেঞ্চ বিচারকেরা স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সংশ্লিষ্ট কথিত বিচারকেরা কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের দোহায় দিয়ে বিচারের কাজ শেষ করে ঘটনাস্থল থেকে সোটকে পড়েন। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম পুতুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিশু ধর্ষণের ব্যাপারে কথিত বিচারকেরা আমার সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। তিনি বলেন, শিশু ধর্ষণের বিষয়ে গ্রাম আদালতের বিচার করার কোন ক্ষমতা নাই বলে জানান। এ ঘটনায় ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ ফাসির উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ