খুলনার পেঁয়াজের বাজারে আগুন
খুলনা অফিস: খুলনা মহানগরীর কাঁচাবাজারে পেঁয়াজসহ সবজির দাম চড়া। অধিকাংশ সবজির দামই সাধারণের নাগালের বাইরে। শীতকালীন কিছু সবজি বাজারে আসলেও সেগুলোর দামও চড়া। শীতকালীন সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন মওসুমের শেষ ও শীতকালীন সবজির শুরুর মাঝখানের সময়টায় সবজির দাম বাড়ে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে পেঁয়াজের দাম বেশি। দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা, ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। বার বার পণ্যটির দাম বাড়ছে। ভারত দফায় দফায় আমদানি মূল্য বাড়ানোর কারণে এমন অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয়। শাক সবজির দাম বৃদ্ধি পেলেও কিছুদিনের মধ্য তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করেন সাধারণ খুচরা ব্যবসায়ীরা।
বুধবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজি প্রতি রসুন ১২০-১৩০ টাকা, আলু ১৬, ঝিঙে ৩৫, পটল ৩৭, ঢেঁড়স ৪০, সিম ১২০, শসা ৩০-৩৫, বেগুন ৪০-৪৫, ধুন্দল ২০, কুশি ৩০-৪০, টমেটো ১২০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০, আমড়া ১৫-২০, পেঁপে ১৫-২০, চাল কুমড়া ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া কচুরমুখি কেজি প্রতি ২০-২২, মূলা ৩৫, মানকচু ৩০, বাঁধাকপি ৩৫-৪০, ফুলকপি ৫০-৫৪, মেটে আলু ৩৫-৪০, লেবু প্রতি পিস ৩-৪, বরবটি ৬০, লাউ প্রতিটি ৩০-৩৫, খিরাই ৩৫ টাকা।
বিক্রেতা মো. হামিদ বলেন, গত বৃষ্টিতে চাষি ও ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা পুষিয়ে নিতেই সবজির দাম এত চড়া।
ক্রেতা ডা. জ্যোতির্ময় বলেন, বাজারে মূল্যের ক্ষেত্রে কোন স্থিতিশীলতা নেই। বিশেষ করে সবজির বাজারে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। একটি সবজি আগের দিন এক দামে বিক্রি হলেও পরদিন সেই দাম আর থাকে না।
সোনাডাঙ্গা কাঁচাবাজারের ক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, কাঁচাবাজারের সব তরকারির দামে দুই একটা ছাড়া আর কোন কিছুর দামই হাতের নাগালে নেই।
ইজিবাইক চালক মফিদুল ইসলাম জানান, গাড়ি চালিয়ে তিনি কোনমতে সংসার চালান। কিন্তু, জিনিসপত্রের দামের সাথে তিনি কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। নগরীর কেবি ট্রেডার্সের প্রোপাইটর মো. কবির বলেন দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন কম থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এরপরে ভারত থেকে আসা পেঁয়াজের ট্যাক্স ভ্যাট দেয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়ে যায়।