বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গর্ভাবস্থায় বিপদ সঙ্কেত

যেসব মহিলার গর্ভাবস্থায় নিচের সমস্যাগুলো দেখা যাবে, তারা দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
১. রক্তাল্পতা : শরীর খুব দুর্বল বা ক্লান্তিবোধ করলে রক্তাল্পতার কথা মনে করতে হবে। দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করে জেনে নিতে হবে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ। কারণ, যেসব মহিলা রক্তাল্পতায় ভোগেন তাদের প্রসবের পরে গুরুতর রক্তক্ষরণ হতে পারে। এ জন্য মাছ, গোশত, ডিম, সবুজ শাকসবজি ও ফলফলাদি খেতে হবে।
২. পেটে ব্যথা : গর্ভের প্রথম তিন মাসের মধ্যে তলপেটে ক্রমাগত ব্যথা হতে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ ভ্রুণ জরায়ুর বাইরে টিউবে বড় হতে থাকলে এ ধরনের ব্যথা হতে পারে। পেটের এক দিকে সাধারণত এ ব্যথা হয়। যোনিপথে সামান্য রক্তস্রাবও হতে পারে। ভ্রুণ খুব বড় হয়ে গেলে টিউব ফেটে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে। এটা খুবই বিপজ্জনক।
৩. যোনিপথে রক্তস্রাব : গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের মধ্যে সামান্য রক্তক্ষরণ হতে পারে। এটা অনেক সময় স্বাভাবিক কারণেও হতে পারে। তবে সামান্য ওই রক্তক্ষরণের সাথে পেটে ব্যথা থাকলে বুঝতে হবে ভ্রুণের জন্ম জরায়ুর বাইরে টিউবের মধ্যে। এটা খুবই বিপজ্জনক। আবার গর্ভের শেষ দিকে রক্তক্ষরণ হলে বুঝতে হবে গর্ভফুলের কোনো সমস্যা হচ্ছে। গর্ভবতী মা ও শিশু বিপদাপন্ন হয়েছে। তাই দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
৪. জ্বর : শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকলে, শরীর ব্যথা ও মাথাব্যথা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. হাত-মুখ ফোলা : গর্ভাবস্থায় পায়ের গোড়ালি ও পা ফোলা স্বাভাবিক; কিন্তু হাত ও মুখ ফুললে তা রক্তে বিষক্রিয়ার লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এর সাথে থাকতে পারে তীব্র মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, অস্বচ্ছ দৃষ্টি, ঝিমুনিভাব। রক্তচাপ বেশি হতে পারে। তাই দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বি: দ্র: গর্ভবতী মহিলারা গর্ভের তৃতীয় মাস থেকে প্রশিক্ষিত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকলে ভালো ফল পেতে পারেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ