বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

হোমিওপ্যাথি : প্রশ্ন আছে অনেক -অধ্যাপক ডা. আহমদ ফারুক

প্র: শীতকাল শুরু হয়েছে। ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠাণ্ডা কাশির ওষুধ চাই
-মুহাম্মার, ঢাকা।
উ: ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠাণ্ডা কাশিতে ব্যবহার করুন ‘অ্যাকোনাইট ন্যাপ-৩০ শক্তি’। মাত্রা দিনে ৩ বার।
প্র: বয়স ৬০ বছর। ব্রংকাইটিস ধরা পড়েছে। ওষুধ চাই।
-আবদুল হান্নান, চট্টগ্রাম।
উ: ‘অ্যামব্রাগ্রিসিয়া-৩০ শক্তি দিনে ৩ বার, এক মাস পর্যন্ত। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্র: সাধারণ জ-িসের একটি ওষুধ বলে দিন।
উ: চেলিডোনিয়াম-৩০ শক্তি।
প্র: ‘হোমিওপ্যাথি’ বুলেটিন নিয়মিত পাব কিভাবে?
-ডা. আসগর আলি, চট্টগ্রাম।
উ: ‘হোমিওপ্যাথি’ প্রতি মাসে প্রকাশিত হয়। বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। গ্রাহক করা হয় না। নিয়মিত পেতে চাইলে ০১৭৪৭১২৯৫৪৭ নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
প্র: মানসিক চাপ কমানোর সহজ পরামর্শ চাই।
-মিনহাজ, ঢাকা।
উ: মানসিক চাপের সময় প্রচুর পানি পান করুন। ইতিবাচক চিন্তা করুন। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল খান। সমস্যা সমাধানে আগ্রহী হোন। ‘হোমিওপ্যাথি’ ওষুধ ‘নাক্সভম-৩০ শক্তি’ ঘন ঘন সেবন করুন।
প্র: একজিমা থেকে কি অ্যাজমা হতে পারে?
-মিনহাজ, ঢাকা
উ: একজিমা এক ধরনের অ্যালার্জিজনিত চর্মরোগ। যথাযথ চিকিৎসা না হলে একজিমা থেকে অ্যাজমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একজন দক্ষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেয়া ভাল। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় একজিমা সম্পূর্ণ ভাল হয়।
প্র: আপনার এক লেখায় লিখেছেন, মানসিক চাপ থাকলে মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হতে পারে। এ জন্য কি করা দরকার?
-মিসেস রুবিনা, চট্টগ্রাম
উ: মানসিক চাপের সাথে সব ধরনের ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। তাই ইতিবাচকভাবে মানসিক চাপ মোকাবিলা করা দরকার। ধর্মীয় অনুশীলন এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইসলামিক সাইকোথেরাপী শিরোনামের ফেসবুক থেকেও সহায়তা নিতে পারেন।
প্র: ‘ওষুধ প্রয়োগ বিজ্ঞান’ বইতে আপনি যেসব নিয়ম-কানুনের কথা লিখেছেন তা অনেকেই অনুসরণ করে না। কেন?
-ডা. সামছুদ্দিন, ঢাকা
উ: ‘ওষুধ প্রয়োগ বিজ্ঞান’ পুরোপুরি অর্গানন ভিত্তিক লেখা একটি বই। ভাল চিকিৎসক হতে হলে বইটি অনুসরণ করতে হবে। অজ্ঞতার কারণেই অনেকে সঠিকভাবে ওষুধ প্রয়োগ করতে পারে না।
প্র: বয়স ৪০। ওজন কমে যাচ্ছে। প্রায়ই জ্বর থাকে। ভাল ওষুধ চাই।
-মাহতাব, যশোর।
উ: আপনি একজন ভাল চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ ওজন কমে যাওয়া এবং প্রায়ই জ্বর থাকা মোটেই ভাল লক্ষণ নয়।
প্র: মাদার টিংচার ব্যবহারে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে অনেকে বলে থাকেন। আপনার মন্তব্য জানতে চাই।
-ডা. শহিদুল হক, চট্টগ্রাম।
উ: মাদার টিংচার থেকে শক্তিকরণ করে হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরি হয়। তাই মাদারটিংচার ব্যবহার মোটেই ঠিক নয়।
প্র: আপনার সাথে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য কিভাবে যোগাযোগ করব?
-ডা. অহিদ, ঢাকা।
উ: এসএমএস করতে পারেন ০১৭৪৭১২৯৫৪৭ নাম্বারে অথবা ফেসবুক : www.facebook.com/drgmfarouq.
অপারেশনের পরে অনেক রোগীর জটিলতা দেখা দেয়। এব্যাপারে সমাধান চাই।
ডা. আমিনুল হক, চট্টগ্রাম।
উ: অপারেশন পরবর্তী জটিলতায় অবস্থাভেদে আর্নিকা, বেলিস পারনিস, কেলেন্ডুলা, ক্যালকেরিয়া ফ্লোর, হাইপেরিকাম, নাইট্রিক এসিড, রাসটক্স, স্ট্যাফিসেগরিয়া, স্ট্রনশিয়া প্রভৃতি ওষুধ থেকে বাছাই করে প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
প্র: অপারেশনের পর কোন মানসিক সমস্যা দেখা দিলে কি ওষুধ দিব?
-ডা. চৌধুরী মাহমুদ হোসেন, ঢাকা।
উ: গ্লোনইন, হাইপেরিকাম, ম্যাগ কার্ব এবং ন্যাট্রাম সালফ প্রভৃতি ওষুধ থেকে বাছাই করে প্রয়োগ করতে পারেন।
প্র: কম্পিউটারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাই।
-ডা: আব্দুল মতিন, ঢাকা।
উ: একজন বিজ্ঞ চিকিৎসক তার জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে রোগীর চিকিৎসা করবেন। হোমিওপ্যাথিতে রোগীর লক্ষণের মধ্যে বৈশিষ্ট্য জ্ঞাপক লক্ষণ বিবেচনা করে ওষুধ নির্বাচন করতে হয়। তাই ছকে বাঁধা কোন সফ্টওয়্যার কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা সম্ভব নয়। যোগ্য ও দক্ষ চিকিৎসক কখনো এমনটি করতে পারেন না। তাই কম্পিউটারে চিকিৎসার নামে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নাই।
প্র: আপনি হোমিওপ্যাথিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ধারণার প্রচার করছেন। এটা কি হোমিওপ্যাথি সম্মত?
-ডা: মাসুম, ঢাকা।
উ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে উচ্চতর শিক্ষা এবং গবেষণা ছাড়া হোমিওপ্যাথির উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই স্মাতক ডিগ্রি অর্জনের পর উচ্চতর শিক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৃষ্টি হলেই হোমিওপ্যাথির প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে।
প্র: ল্যাকটিকাম এসিডাম ওষুধটি আপনি কিসে ব্যবহার করেন?
-ডা. এস বড়ুয়া, সিলেট
উ: ল্যাকটিক এসিড থেকে তৈরি ল্যাকটিকাম এসিডাম ওষুধটি গর্ভবতী পরিচর্যায় একটি ভাল ওষুধ। গর্ভের প্রাথমিক পর্যায়ের বমি, বমিভাব অর্থাৎ মর্নিং সিকনেস (Morning Sickness) সমস্যায় এটি ভাল ওষুধ। ডায়াবেটিস রোগেও এর ব্যবহার রয়েছে। মেয়েদের স্তন প্রদাহ বা ম্যাস্টাইটিস-এ এই ওষুধটি ভাল কাজ করে।
প্র: ওষুধ প্রয়োগ সঠিক নিয়মে হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝা যাবে?
-ডা. নাসরিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম
উ: ওষুধ প্রয়োগের পর যদি রোগীর আবেগ ও মনের অবস্থার উন্নতি দেখা দেয় তা হলে বুঝা যাবে যে, ওষুধটি সঠিক এবং ক্ষুদ্র মাত্রায় ব্যবহৃত হয়েছে। ক্রনিক রোগের সঠিক ওষুধ বুঝার জন্যই এ নিয়ম। আবার একিউট রোগে ওষুধ সেবনের পর প্রথম ঘণ্টায় অথবা প্রথম কয়েক ঘণ্টায় মূল রোগ লক্ষণের সামান্য বৃদ্ধি দেখা দিলে বুঝতে হবে ওষুধটি সঠিক হয়েছে। এ সময় ওষুধের মাত্রা আরো ক্ষুদ্র করে প্রয়োগ করতে হবে। উন্নতি দেখা দিলে ওষুধ বন্ধ করে দিতে হবে।
প্র: আপনার পরামর্শ অনুযায়ী আমি মাদার টিংচার ব্যবহার প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি। তারপরও মাঝে মাঝে আবার ব্যবহার করি। কেমন যেন একটা আসক্তি রয়েছে মাদার টিংচার ব্যবহারের প্রতি। এব্যাপারে আপনার পরামর্শ কি?
-ডা. মাহবুব হাসান, কুমিল্লা।
উ: এ ব্যাপারে প্রথমেই আপনাকে হোমিওপ্যাথির নীতিমালার প্রতি গভীর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। নিয়মিত অর্গানন অব মেডিসিন বইটি পড়তে হবে। মেটিরিয়া মেডিকা ভালভাবে অধ্যয়ন করতে হবে। মনে মনে রপ্ত করতে হবে যে, আপনি একজন নীতিবাদী আদর্শ চিকিৎসক। এ কয়টি পরামর্শ অনুসরণ করলে আপনার মাদার টিংচার আসক্তি দূর হয়ে যাবে।
প্র: নতুন পদ্ধতির ওষুধ সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
-ডা. নাজমুল হাবিব, চট্টগ্রাম।
উ: নতুন পদ্ধতি বা পঞ্চাশ সহস্রতমিক পদ্ধতির ওষুধ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। এ ওষুধের ক্রিয়া দ্রুত। এ ওষুধের ক্রিয়ায় বিপজ্জনক তীব্রতা বা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে না। এ পদ্ধতির ওষুধ ব্যবহারে রোগী অতি দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। এ পদ্ধতির ওষুধ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে আমাদের দেশে ভালমানের ওষুধ প্রাপ্তিতে সমস্যার কারণে অনেক চিকিৎসক তা ব্যবহার করেন না।
প্র: বিজ্ঞানী হানেমান মুসলমান হয়েছিলেন বলে অনেক বলে থাকেন। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?
-ডা. আবদুল আউয়াল মৃধা, ঢাকা
উ: বিজ্ঞানী হানেমান একজন প্রোটেস্ট্যান্ট খৃস্টান ছিলেন। তার যতগুলো নির্ভরযোগ্য জীবনী গ্রন্থ আছে, তাতে এটাই প্রমাণিত যে, তিনি খৃস্টানই ছিলেন। মৃত্যুর পর তাকে ফ্রান্সের খৃস্টান সিমেট্রিতে কবরস্থ করা হয়। সুতরাং ভুল তথ্য দিয়ে কাউকে জোর করে মুসলিম বানানো কখনই ঠিক নয়। হোমিওপ্যাথির জনক হিসেবেই তাকে সম্মান শ্রদ্ধা জানানো কর্তব্য। ধর্ম হিসেবে নয়।
প্র: হানেমান প্রতিদিন কতজন রোগী দেখতেন?
ডা. সোহাইব হোসেন, ঢাকা।
উ: এ ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য রয়েছে। যেমন তিনি প্রতিদিন ৫-৬ জন রোগী দেখতেন। এক থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী তিনি একেকজন রোগীকে সময় দিতেন। আবার অন্য তথ্যে দেখা যায়, তিনি ফ্রান্সের জীবনে সকালে ১০ জন, বিকালে ৪ জন রোগী দেখতেন।
প্র: অনেক চিকিৎসক অর্গানন মানেন না, অথচ বলেন- ক্লাসিক্যাল চিকিৎসা করেন। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?     -ডা: সামসুল হক, ঢাকা।
উ: চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রকৃত শিক্ষা এবং অর্গানন মেনে চলার মাধ্যমেই প্রকৃত ক্লাসিক্যাল চিকিৎসা করা সম্ভব।
প্র: কেউ যদি অ্যালোপ্যাথিক ডিগ্রি নিয়ে হোমিওপ্যাথিতে ডিপ্লোমা করেন তাহলে কি তিনি ভাল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হতে পারেন?
-ডা: সৌমিত্র ঘোষ, খুলনা।
উ: চিকিৎসা বিজ্ঞানের যথাযথ শিক্ষা নিয়ে কেউ যদি হোমিওপ্যাথিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বিজ্ঞানী হানেমানের নির্দেশনা হুবহু অনুসরণ করেন তবেই তিনি ভাল ডাক্তার হতে পারবেন। অ্যালোপ্যাথি ডিগ্রি থাকলেই কেউ ভাল হোমিওপ্যাথি ডাক্তার হবেন এমনটি ভাববার কোন কারণ নেই।
প্র: কোন মহিলার শরীরে গনোরিয়া সংক্রমিত হয়েছে কিনা তা কিভাবে বুঝা যাবে? এ রোগের প্রতিরোধ জানতে চাই।
-শাহিনুর বেগম, চট্টগ্রাম।
উ: গনোরিয়া একটি গুরুতর যৌন সংক্রমিত রোগ। কোন গনোরিয়া সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে সঙ্গম করলে মহিলার দেহে গনোরিয়া সংক্রমিত হতে পারে। অর্থাৎ আক্রান্ত পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনের ফলে মহিলার যোনিপথে জীবাণু প্রবেশ করে এবং যোনিপথের গ্রন্থিকে বিশেষ করে জরায়ু মুখের গ্রন্থিগুলোকে জীবাণুগুলো আক্রমণ করে। এরপর জীবাণুগুলো জরায়ুর ভিতরে প্রবেশ করে দু’পাশের ডিম্বনালীকে আক্রমণ করে তার আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও যোনিপথের ঠিক সামনে রয়েছে মুত্রপথ। সেখানেও জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। এসব ক্ষেত্রে নানারকম উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন-যোনি ও মুত্রপথ দিয়ে অল্প বা অধিক পরিমাণে পুঁজ বের হয়। প্রস্রাবে তীব্র জ্বালা ও ব্যথা হতে পারে। তলপেটে অল্প থেকে তীব্র ব্যথা। সামান্য জ্বর। যৌন সঙ্গমের সময় যন্ত্রণা বা রক্তক্ষরণ। অথবা কোন লক্ষণই থাকে না। এ ধরনের উপসর্গ থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। প্রতিরোধে নিরাপদ পারিবারিক জীবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। বিয়ে বহির্ভূত কোন সম্পর্ক যেন না থাকে।
প্র: আমাদের কাছে অনেক যুবক লিঙ্গের আকারের সমস্যা নিয়ে আসে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মত সমাধান চাই।
-ডা. অনিল চৌধুরী, ঢাকা
উ: প্রথম কথা, অনেক যুবক লিঙ্গ বিষয়ক মানসিক সমস্যায় ভোগেন। বৈজ্ঞানিকভাবে একজন যুবকের লিঙ্গের স্বাভাবিক আকার ৩ ইঞ্চি। উত্তেজনার সময় ৪-৬ ইঞ্চি স্বাভাবিক। হরমোনের প্রভাবে উত্তেজনার সময় আকার- ছোট বড় হয়ে থাকে। যৌন সক্ষমতা নির্ভর করে উত্তেজক সময়ের আকারে উপর। এ বিষয়ে নানা কুসংস্কার যুবকদের মনে নানা ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। প্রয়োজনে হরমোন পরীক্ষা দ্বারা সমস্যা চিহ্নিত করা যায়। যদি কোন সমস্যা ধরা পড়ে তাহলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে।
প্র: আমি একজন রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস-এর রোগী। এ রোগের সাথে যৌন সমস্যার কোন সম্পর্ক আছে কি? হোমিওপ্যাথিতে এর সমাধান আছে কি?
-আবদুল হালিম, ঢাকা।
উ: জি, ভাই। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সাথে যৌন সমস্যার সম্পর্ক রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আপনি নিয়মিতভাবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করলে সামগ্রিক উপকার পাবেন, ইনশাআল্লাহ।
প্র: আর্থ্রাইটিসে হোমিওপ্যাথি ওষুধ কতটা কার্যকরী?
-মাসুম, চট্টগ্রাম
উ: অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় হোমিওপ্যাথি ওষুধে আর্থ্রাইটিস রোগীরা ভাল ফল পেয়ে থাকেন।
প্র: অ্যালার্জিজনিত হাঁপানী চেনার উপায় কি?
-মুজিবুর রহমান, ঢাকা।
উ: হঠাৎ রোগের আক্রমণ ঘটে এবং রোগ লক্ষণের উপশমও হয় হঠাৎ। রক্তের সিরামে ইমিউনোগ্লোবিউলিন-ই (IgE) বেশি পরিমাণে থাকে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অ্যালার্জির ইতিহাস থাকে। ইত্যাদি ইতিহাস দেখে বুঝা যাবে হাঁপানির সাথে অ্যালার্জির সম্পর্ক।
প্র: মহিলারা কিভাবে বুঝবেন তারা যৌন রোগাক্রান্ত কিনা?
-শামিমা, ঢাকা।
উ: যোনিপথ দিয়ে অস্বাভাবিক স্রাব, তলপেটে ব্যথা, যৌনাঙ্গে ফুস্কুরি, ফোলা বা ঘা থাকা। এ ধরনের এক বা একাধিক লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এব্যাপারে ভাল চিকিৎসা দিতে পারেন।
প্র: আমি উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞানের ছাত্র। হোমিওপ্যাথি পড়তে চাই। কোথায় পড়ব?
-সাদ্দাম, বরিশাল
উ: উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞানে পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএইচএমএস কোর্স করা যায়। ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে বিএইচএমএস পড়া যায়।
প্র: হেপাটাইটিস-বি কিভাবে চেনা যায় এবং এর জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কার্যকর কিনা?
-সাইয়েদ মনজুর, ঢাকা।
উ: হেপাটাইটিস-বি একটি বিপজ্জনক সংক্রামক রোগ। যৌন সংক্রামক রোগ হিসেবে এর বিস্তৃতি ঘটে থাকে। জ্বর, ক্ষুধামন্দা, ক্লান্তি ও দুর্বলতা, হলদে চোখ এবং ত্বক, পেট ব্যথা, গাঢ় প্রস্রাব এবং সাদাটে মল। এসব লক্ষণ থাকলে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে হেপাটাইটিস-বি সনাক্ত করা যায়। ভিটামিন ‘সি’ এর ভাল প্রতিরোধক। হোমিওপ্যাথি ওষুধে এ ধরনের রোগীরা ভাল ফল পেতে পারেন।
উত্তরদাতা : নির্বাহী পরিচালক, ইন্সটিটিউট অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড রিসার্চ।
প্রশ্ন পাঠালে এসএমএস করুন: ০১৭১২৮১৭১৪৪

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ