শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভোলার এসপি মোকতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন আ’লীগ নেতা

স্টাফ রিপোর্টার : এবার ভোলার পুলিশ সুপার মোকতারের নানা অপকর্মের বিচার এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নালিশ দিয়েছেন ভোলা জেলার আওয়ামী লীগ নেতা হেমায়েত উদ্দিন। এছাড়া ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জিয়াউর রহমান এসপি মোকতার কর্তৃক হয়রানি হওয়ার আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন। অভিযোগের ডাইরি নম্বর- ৬৬১৮। বিষয়টি পুলিশের আইজিপি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও লিখিত আকারে জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা হেমায়েত উদ্দিনের অভিযোগ, ভোলার এসপি মোকতার জনৈক মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজনের সেবাদাসে পরিণত হয়েছেন। মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজনের কথার বাইরে গেলে মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতে ভোলাতে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীর হয়রানির শিকার। এছাড়া পুলিশ সুপার মোকতার ভোলা জেলায় যোগ দেওয়ার পর ঘরে ঘরে ইয়াবা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ইয়াবা ব্যবসা বেড়ে যাওয়ায় তরুণ সমাজ বিপথে যাচ্ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি করা হয় বলেও অভিযোগ তার।
 ভোলা এক আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং ছাত্র রাজনীতিতে পোর খাওয়া এই নেতা বলেন, জনৈক মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজনের আশকারায় এসপি মোকতার বেপরোয়া আচরণ করে থাকেন। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এসপি উদ্যত আচরণ করেন। ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ এবং ঢাকায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা  ফোন করলে এসপি বলে থাকেন আপনার মত অনেক নেতা দেখে আসছি। ভোলার মানুষ এসপি মোকতারের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ চায় বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা।
 এসপির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, গত ১৪/০৭/২০১৬ ইং তারিখে মোকতার হোসেন ভোলা জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পরপরই তিনি তার স্বভাবসুলভ ঘুষ, দুর্নীতি ও মহিলা পুলিশ কনস্টেবলদের উপর যৌন নিপীড়ন শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন থানা ফাঁড়ি ভিজিট করে সুন্দরী অবিবাহিত ১০/১২ জন মহিলা পুলিশ কনস্টেবলদের বাছাই করে পুলিশ লাইনে বদলি করে নিয়ে আসেন। এরপর তার সাথে দেখা করা ও শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ কাজে তিনি কং মনিরকে সার্বক্ষণিক নিয়োগ করেন। পুলিশ সুপার মোকতার হোসেনের হাত থেকে বাঁচার জন্য ঐ সব নিরীহ মহিলা কনস্টেবল তার কথোপকথন রেকর্ড করে রাখেন এবং ফোনে উইমেন্স পুলিশ নেটওয়ার্কের প্রধান ডিআইজি মিলি বিশ্বাসকে জানান।
এই ঘটনা নিয়ে গত ২৯ জুলাই দৈনিক সংগ্রামে সংবাদ প্রকাশ করে। এতে ভোলাসহ দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ওই দিন ভোলায় দৈনিক সংগ্রাম ফটোকপি করে বিক্রি হয়। এরপর  অজ্ঞাত কারণে এসপি মোকতারকে সহযোগিতাকারী কনস্টবল মনিরের চাকরি চ্যুতি ঘটে। ভিকটিম নারী কনস্টবলদের শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।
এদিকে এসপি মোকতারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিপদে পড়েছেন একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। জিয়াউর রহমানের নামের এই সংবাদ কর্মীর অভিযোগ, গ্রামের বাড়ি ভোলাতে হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তিনি। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় পুলিশ সুপার প্রকাশ্য বলে বেড়ান যে, ভোলায়  গেলে পকেটে মাদক দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হবে। সেইসাথে পরিবারের লোকজনকে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ