শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ভারতে খড় পোড়ানোর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতার আহ্বান

১২ নবেম্বর, ইন্টারনেট : ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের খড় পোড়ানোর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করতে রাজ্য সরকারগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে। শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা একথা জানান।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কৃষি মন্ত্রণালয় এ পরামর্শ দিয়েছে। খবর সিনহুয়া’র।

মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পাঞ্জাব, হারিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলোতে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল দিল্লী সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছে এবং এই চারটি উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য গুরুতর ইস্যুটির ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারী ধোঁয়াশায় দিল্লী ঢেকে গিয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বয়স্ক ও শিশুদের বাড়ির বাইরে না বেরুনোর পরামর্শ দেয়।

 ধোঁয়া-দূষণ সমস্যা মোকাবেলায় ভারতকে পাকিস্তানের পরামর্শ ফসলের জমি থেকে শস্য কেটে নেওয়ার পর জমিতে থেকে যাওয়া খড়কুটা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু এই খড় পোড়ানোর কারণে সৃষ্ট ধোঁয়ায় ভারতের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে রাজধানী নয়াদিল্লীর জনজীবন এখন বিপর্যস্ত। ঘন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

পাঞ্জাবের ফসলী জমি থেকে দিল্লীর দিকে ধেয়ে আসা এই ধোঁয়া ও দূষণ নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওযাল পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দার সিংকে লিখিত অভিযোগ করলেও এক্ষেত্রে কিছু করার ব্যাপারে নিজের অসহায় অবস্থা প্রকাশ করেন পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী। খবর সাউথ এশিয়ান মনিটর। এখন, পাকিস্তানের পাঞ্জাব সরকারও ক্যাপ্টেন অমরিন্দার সিংকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার পোস্ট করা একটি টুইটে পাকিস্তান পাঞ্জাবের সরকার অমরিন্দার সিংকে এ আহ্বান জানান এবং কিছু পরামর্শ দেন। কেজরিওযালের বক্তব্য উদ্ধৃত করে টুইটটিতে জানানো হয় যে পাকিস্তান পাঞ্জাবের সরকার খর-নাড়া পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে। ক্যাপ্টেন অমরিন্দারও একই ব্যবস্থা নিবেন বলে পাঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হয়। পাঞ্জাব প্রদেশ সরকারে আরেকটি টুইটে বলা হয়, ‘পরিবেশগত বিপদ আমাদের জনগণ এবং বাসস্থানের জন্য বড় হুমকি। আসুন আমরা এটি মোকাবেলা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেই।’পাকিস্তান পাঞ্জাবের পরিবেশমন্ত্রী জাকিয়া শাহ নওয়াজ খান আরো আগে এই ধরনের দূষণকে একটি আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তিনি একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে ভারত ও পাকিস্তানকে একত্রে কাজ করারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এই ইস্যুতে সহযোগিতার জন্য এই মুহূর্তে একটি উপযুক্ত ফোরাম হল দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)। এই অবস্থা এখন এমন যে পাকিস্তান কার্যকরভাবে ধোঁযাশা সমস্যা মোকাবেলা করতে পারলেও ভারত যদি তা নিয়ে বিপদে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত সবাই বাযু দূষণে আক্রান্ত হবে।’জাকিয়া শাহ নওযাজ খান আরো বলেন, ‘ধোঁয়া সহজ সরল ভাষায় একধরণের দূষণ এবং এটি আমাদের জন্য ক্ষতিকর। কেউই এর মধ্যে থাকতে চায় না। আমাদের পরিবেশ আমাদেরকেই বিশুদ্ধ করতে হবে। এখন এটি করার জন্য, আমাদের তিন ধরনের: দীর্ঘ, মাঝারি ও স্বল্প মেয়াদী কৌশল থাকা প্রয়োজন।’পাকিস্তান পাঞ্জাবের সরকার ইতিমধ্যে কিছু জরুরি ও স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ বাস্তবাযন করছে বলে পাকিস্তান পাঞ্জাবের পরিবেশমন্ত্রী জাকিয়া শাহ নওয়াজ খান জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ