বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় মডার্ণ ক্লিনিক বন্ধ

কেশবপুর (যশোর) সংবাদদতা: ভুল অপারেশনে এক প্রসূতির মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার কেশবপুরের মর্ডাণ ক্লিনিক সীলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। চলতি বছরের সেপ্টেবর মাসে ভুল সিজারের কারনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন ও কিডনি অকেজো হয়ে এক প্রসূতির মৃত্যু ঘটে। ওই ঘটনায় নিহত প্রসূতির স্বামী বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন অফিসের যৌথ সিন্ধান্তে ক্লিনিকে সীলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হয়। ক্লিনিকে ভর্তি থাকা প্রায় বিশ জন বিভিন্ন ধরনের রোগিদের ক্লিনিক থেকে নিয়ে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় জানান, কেশবপুরের মর্ডান ক্লিনিকে ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার সাতবাড়িযা ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সাইফুল্লাহর স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে সিজার করা হয়। ক্লিনিক মালিক রবিউল ইসলাম ওই রোগি ভর্তি করিয়ে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডাক্তার আব্দুল বারীকে দিয়ে তাসলিমার অপরারেশন করায়। অপারেশনের পর তাসলিমার রক্তক্ষর শুরু হয়। বার বার রক্ত দেয়ার পরেও রোগীর অবস্থার অবনতি হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কৌশলে খুলনার একটি ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীর স্বজনরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে তারা চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং তাসলিমাকে খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগীর আত্মীয়রা খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান এবং ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর চারটার দিকে তাসলিমা বেগম মারা যান। ওই ঘটনার অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন পৃথক পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে যশোর জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন অফিসে ক্লিনিকের অবহেলা ও অদক্ষতার কারনে রোগির মৃত্যু ঘটেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ