ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি সমস্যা জর্জরিত
মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর): দিনাজপুরে ফুলবাড়ী উপজেলা ও পৌর শহরের স্থাপিত ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি নানা সমস্যা জর্জরিত। ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও বিদ্যালয়টি উন্নয়ন কল্পে কেউ নজর রাখে নি। দিনাজপুরে ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬৬ ইং সালে পৌর শহরের মেইন রোডে স্থাপিত হয়। বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগে নি। ফলে নানা সমস্যায় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি পরিচালনা হয়ে আসছিল। ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি তৎকালীন সময় সরকারী করণ হওয়ার কথা থাকলেও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ হোসনেরা বেগমের কারণে আর সরকারীকরণ হয় নাই। তিনি নিজের স্বার্থ দেখতে গিয়ে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তিনি অবসর নেওয়ার পর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি হাত বদল হওয়ার পর উক্ত বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ আতাউর রহমান মিলটন কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর শক্ত হাতে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি পরিচালনা করছেন। তার সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের টিনসেড ঘরগুলি সংস্কার করা হয়। বর্তমান বিদ্যালয়টি ১৩টি ক্লাস রুমের মধ্যে ০৫টি ছাদ পিটানো পুরাতন ঘর রয়েছে। বাকি ০৮টি ঘর টিনসেড রয়েছে। বর্তমান পূর্বের ন্যায় ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ঐতিহ্য ফিরে আনা হয়েছে। বর্তমান বিদ্যালয়ে মোট ৪৬৯ জন ছাত্রী রয়েছে। বিদ্যালয়টি লেখা পড়ায় আগে চেয়ে অনেক ভালো ফলাফল করছে। ২০১৬ ইং সালের এস,এস,সি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৫.৮৫% ও ভোকেশনালে ২০১৬ ইং সালের ৭৩.৪৭% ছিল। ২০১৭ ইং সালের এস,এস,সি তে ৭৮.৭৯% এবং ভোকেশনালে ৮৮.৪৬% ছিল। বর্তমান ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ২৫ জন শিক্ষক/কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। দিনাজপুর সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারী ভাবে ভবন বরাদ্দ হলেও ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি দিকে কারো নজর নেই।
ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ আতাউর রহমান মিলটন জানান, বিদ্যালয়টি যখন ধ্বংসের পথে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ে বিদ্যালয়টি ঐতিহ্য ফিরে আনার জন্য সকলে অক্লান্ত পরিশ্রমে বিদ্যালয়টি আজ দাঁড় করানো হয়েছে। আমি থাকি, আর না থাকি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
অপর দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হাশেম, তিনি জানান আমি এই বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর ক্লাস রুমগুলি কিছুটা ভালো করেছি, কমিটির সভাপতির সহযোগিতায়। ক্লাস রুমগুলিতে বর্তমান ক্লাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। জর্জরিত অবস্থায় বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমগুলিতে ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। ৫২ বছর পার হয়ে গেলেও এখানে সরকারী ভাবে একটি ভবনও কেউ নির্মাণ করেন নি। বহুতলা একটি ভবন দেওয়া হলে ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি তার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনবে। ভবনের অভাবে ভাঙ্গাচুরা ঘরগুলিতে ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ফুলবাড়ীর বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল, সুধিজন, ব্যবসায়ী মহল, সাংবাদিক, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।