শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দিঘলিয়ার বারাকপুর-চন্দনীমহল ২২ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের উদ্যোগ

খুলনা অফিস: খুলনা শহরের উপর চাপ কমাতে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বারাকপুর থেকে চন্দনীমহল পর্যন্ত অন্তত ২২ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী খুব শিগগির এ প্রকল্পটি অনুমোদন ও বাস্তবায়নে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কাজ শুরু করা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শহরের উপর শুধু চাপ কমবে ঠিক তা না। শহর সম্প্রসারিত হবে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
কেডিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে বারাকপুর থেকে চন্দনীমহল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। ওই সময় প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৫৩২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কিন্তু ২০১২ সালের ১৬ জুলাই প্রকল্পের এক ব্যয় যুক্তিযুক্তকরণ সভার পর্যবেক্ষণে পুনর্গঠিত ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) প্রেরণের নির্দেশনা দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী ২০১৩ সালের ২৬ মে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ফের ডিপিপি প্রেরণ করে কেডিএ। এরপর ওই প্রকল্প আর আলোর মুখ দেখেনি। সে অবধি লাল ফিতায় ফাইল বন্দী হয়ে থাকে।
জানা গেছে, সম্প্রতি গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকল্পটির অনুমোদন ও বাস্তবায়নে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করার নির্দেশনা দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সেই নির্দেশনা প্রতিপালনে খুব শিগগির ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কাজ  শুরু করবে খুলনা উন্নয়ন পক্ষ (কেডিএ)। এরপর মন্ত্রণালয় ও একনেকে অনুমোদন শেষে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করা হবে।
কেডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী (পূর্ত) মো. আরমান হোসেন বলেন, ২০১২ সালে প্রকল্প প্রস্তাবটি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় প্রকল্পটির আর অনুমোদন মেলেনি। সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করার নির্দেশনা এসেছে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, খুলনার উপর চাপ কমাতে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা হলে শহরের উপর চাপ কমবে, সড়কটি ঘিরে একাধিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে নাগরিকদের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ