অ্যান্টার্কটিকায় বিপন্ন শিশু পেঙ্গুইন
প্রকাশিত: বুধবার ২২ নবেম্বর ২০১৭ | প্রিন্ট সংস্করণ
অ্যান্টার্কটিকায় সমুদ্রের মধ্যে বরফের স্তর ক্রমশই পুরু হচ্ছে, যার ফলাফল গিয়ে পড়ছে এখানে বসবাসকারী গুটিকয়েক বিরল প্রজাতির প্রাণীর উপর। তবে সবচেয়ে বেশি সংকটে রয়েছে পেঙ্গুইনরা, বিশেষ করে শিশু পেঙ্গুইনদের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। কেননা পুরু বরফের স্তরে মা পেঙ্গুইনরা ঠিকমতো খাদ্য সংগ্রহ করতে পারছে না। ফলে মায়ের কাছ থেকে পরিপূর্ণ পুষ্টি না পেয়ে অনাহারে মারা যাচ্ছে পেঙ্গুইন ছানা। পরিবেশবিদরা এই অবস্থায় রীতিমতো আতঙ্কিত, তাঁদের মতে, এই াবস্থা চলতে থাকলে তা পেঙ্গুইন প্রজাতির কাছে বড়সড় বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠবে অচিরেই। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ফরাসি বিজ্ঞানী ইয়ান রূপার্ট কাউডার ২০১০ সাল থেকে এই বিষয়টি নিয়ে বিশদে গবেষণা চালিয়েছে। এই সমীক্ষার জন্য তিনি দীর্ঘদিন আন্টার্কটিকায় বসবাস করেন এবং পূর্ব আন্টার্কটিকা এলাকায় প্রায় ১৮ হাজার জোড়া অ্যাডেলি পেঙ্গুইনের দলকে খুব কাছ থেকে নিরীক্ষণ করেন। তারপরে সেই সমীক্ষা যখন শেষ হল, তার ফলাফল ছিল যথেষ্ট হতাশাব্যঞ্জক। আঠারো হাজার জোড়ার পেঙ্গুইনের যত বাচ্চা হয়েছিল, তাদের মধ্যে মাত্র দু’টি বাচ্চা বেঁচেছিল। গণহারে এভাবে শিশু পেঙ্গুইনের মৃত্যুর কারণ ছিল খাদ্যাভাব। কাছাকাছি অঞ্চলে খাদ্য না পেয়ে মা পেঙ্গুইনের যত বাচ্চা হয়েছিল, তাদের মধ্যে মাত্র দু’টি বাচ্চা বেঁচেছিল। গণহারে এভাবে শিশু পেঙ্গুইনের মৃত্যুর কারণ ছিল খাদ্যভাব। কাছাকাছি অঞ্চলে খাদ্য না পেয়ে মা পেঙ্গুইনকে খাবার আনতে অনেক দূর চলে যেতে হয়, আর এদিকে শিশু পেঙ্গুইনদের নিজেদের খাবার জোগাড় করার ক্ষমতা থাকে না, ফলত খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে করতে একসময়ে তাদের মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে। গবেষক কাউডারের মতে, পরিবেশগত নানাবিধ বিবর্তনের ফলাফল হিসাবে খাবার সংগ্রহের সময়ের তারতম্য ঘটায় এই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে।