আপন জুয়েলার্স মালিকদের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
স্টাফ রিপোর্টার : আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম ও তার দ্ইু ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে অর্থপাচার মামলায় কেন জামিন দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ঢাকার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রুলের জবাবের পর এ বিষয়ে শুনানি হবে।
জামিন চেয়ে করা পাঁচটি আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমদ।
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় শুরু হলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী গত মে মাসে দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদকে গ্রেফতার করে। সাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে আপন জুয়েলার্সের অবৈধ লেনদেনের তদন্ত শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দারা।
গত ১২ আগস্ট শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দিলদার আহমেদ ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার এনে এর অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ তারা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেনি। এসব মামলায় দিলদার আহমেদের দুই ভাই হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। তবে জামিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর তারা নিয়ম অনুযায়ী নিম্ন আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরে তিন জনই গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার মহানগর ভিন্ন ভিন্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে দিলদার আহমেদ ও তার ভাইয়েরা হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আদেশের পর আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, একটি সোনার দোকানকে কেন্দ্র করে শুল্ক আইনে নোটিশ দেয়া হযেছিল, সেখানে চোরাচালানের অভিযোগের কথাও বলা ছিল। সেই নোটিশ বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মামলা করেছে। কিন্তু এটা অর্থ পাচার আইনের বিষয়ই নয়। ব্যবসার সুনাম নষ্ট করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে।