বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতি পূরণের দাবিতে মানববন্ধন

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির গেট চত্বরের মেইন রাস্তায় খনি এলাকার ১৩টি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেন

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারনে নতুন করে ১৩টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপুরণের দাবীতে ৫ হাজার গ্রামবাসীর মানববন্ধন। গত বুধবার বড়পুকুরিয়া খনি এলাকায় নতুন করে ১৩ টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় খনি কতৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপুরণের দাবীতে কয়লা খনি এলাকায় ৫হাজার গ্রামবাসী মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বড়পুকুরিয়া এলাকার ১৩ টি গ্রামের ৫হাজার নারী পুরুষ ফেসটুন ব্যানার নিয়ে ৬দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ৩ঘন্টা মানববন্ধন করেন। বড়পুকুরিয় কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি গ্রামের সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মো. মশিউর রহমান বুলবুল মানববন্ধনে বক্তব্যে বলেন,আমাদের ৬দফ দাবী খনি কতৃপক্ষকে মেনে নিতে হবে। ৬ দফা দাবী সমুহ আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।এর মধ্যে কয়লা খনিতে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি গ্রাম এর মধ্যে মোবারকপুর, বইগ্রাম, কাশিয়াডাঙ্গা, রসুলপুর, কালুপাড়া, মহেশপুর, পাতরাপাড়া, বাশঁপুকুর, বৌধনাথপুর, কাজিপাড়া,হামিদপুর, চৌহাটি, যবরপাড়া, এলাকায় ভু-গর্ভ থেকে কয়লা উত্তলনের ফলে ঘরবাড়িতে নতুন করে ফাটলের ক্ষতিপুরই দেয়া হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত ঐ সব বাসা বাড়ির উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবার থেকে চাকরী ব্যবস্থা করতে হবে ও কোটা রাখতে হবে।
ফুলবাড়ী থেকে খয়েরপুকুর হাট ও চৌহাটি থেকে ধুলাউদাল পর্যন্ত জনগণের চলাচলের জন্য রাস্তাটি উপযুক্ত করতে হবে। বড়পুকুরিয়ায় বর্ষাকালে রাস্তাটি পানির নিচে ডুবে যায়। এতে এলাকার মানুষ, স্কুল কলেজ এর ছাত্র ছাত্রী এবং অসুস্থ রোগী নিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ইতিপূর্বে খনি কর্তৃপক্ষ এলাকার মানুষকে আশার আলো দেখিয়ে মসজিদ,কবরস্থান,ঈদগাহ মাঠ,ফসলের জমি,বাসা বাড়ি,পুকুর সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে ৬শত ২৭ একর জমি অধিক গ্রহণ করেন। আজ এলাকার মানুষ খনির কারণে নিঃস্ব হয়েগেছে। আর তারা এই এলাকার ক্ষতি করতে দিতে চায় না। নতুন করে ১৩টি গ্রাম ধ্বংস করে ২১শ একর জমি অধিগ্রহণ করার ষড়যন্ত্র করছে।
খনি কতৃপক্ষ আমাদের দাবী মেনে না নিয়ে আমাদেরকে ভয়ভীতি,মামলামোকদ্দমা করে আন্দোলনকে বন্ধ করতে চায়। আমরা তাদের এই হুমকীর কাছে মাথা নত করতে চাইনা। ৫ই মে ২০০৭ সালের সরকার কর্তৃক নির্দেশিত পেট্রোবাংলা কয়লা খনি ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর মধ্যে স্বাক্ষরিত ১০ দফা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ