আইনের বিধিমালায় শ্রমস্বার্থ বিরোধী ধারাগুলো বাদ দিয়ে সমান সুযোগ সৃষ্টি করুন
স্টাফ রিপোর্টার : শ্রম আইন ২০০৬ পরবর্তীতে ২০১৩ সালে সামান্য সংশোধিত ও শ্রম আইনের বিধিমালায় শ্রম স্বার্থবিরোধী ধারাসমুহ বাদ দিয়ে শ্রম ও শিল্প স্বার্থরক্ষায় যুগোপযোগী নতুন শ্রম আইন প্রণয়ন করুন এবং শ্রমিকদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করুন।
গতকাল রোববার শ্রমিক ঐক্যর উদ্যাগে রাজধানীর রিপোর্টাস ইউনিটে জাতীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী জাতীয় শ্রমিকনেতা আলমগীর মজুমদারের সভাপতিত্বতে উক্ত সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপাস্থাপন করেন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন। শামীমা শিরিন আকতারের সঞ্চালনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুন অর রশিদ খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, বাংলাদেশ প্রগতিশীল গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি কামরুন্নাহার, শ্রমিকনেতা শফিকুল ইসলাম, শ্রমিকনেতা জাহাঙ্গীর আলম। উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকনেতা নুরুল হক, একে এম আতিক,আবু হানিফ।
শ্রমিক নেতবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, দেশের সংবিধান এবং আইএলও কনভেনশন ৮৭ ইপিজেডসহ সকল সেক্টরে শ্রমিক সংগঠন করার অধিকার সুনিশ্চিত করেছে। কিন্তু সরকার ইপিজেডের জন্য আলাদা আইন শ্রম আইন প্রণয়ন করেছে। একই দেশে একই বিষয়ে শ্রমিকদের জন্য দুটি আইন কখনো যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। নেতৃবৃন্দ অতিশিঘ্রয় এই আইন সংশোধন করার দাবি জানান।
নেতবৃন্দ আরো বলেন, একই রকমভাবে ধারা ২-এ সংজ্ঞাসমুহকে যুক্তিকরণ, ধারা ১৭৫-এ শ্রমিকের বিশেষ সংজ্ঞা সংশোধন, ধারা ১৭৬-এ ১৯৬৯ সনের শিল্পসর্ম্পক অধ্যাদেশ এ বর্ণিত সংজ্ঞানুযায়ী পুর্নগঠন, ধারা ৫ পরিবর্তন,ধারা ১৩(২) বাতিল এবং ১৩(১) ও ১৩(২) সংশোধন, ধারা ২৩ দন্ডপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে শাস্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা এবং শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ৩ উপধারা বাতিল করতে হবে।
সেমিনার থেকে সরকারকে আহবান জানানো হয় উক্ত আইনের কিছু ধারা বাতিল এবং সংশোধন করতে। কিন্ত সরকার যদি তা না করে তাহলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে এই দাবি আদায়ের আহবান জানান।