শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সার্জেন্টকে হেনস্তা করে কারাগারে অধ্যক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় বেসরকারি ঢাকা বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ লায়ন এস এ মালেককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গত রোববার রাজধানীর এশিয়াটিক সোসাইটির সামনে উল্টোপথে বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে আসার সময় তাকে (অধ্যক্ষকে) আটকে দেন দায়িত্বরত সার্জেন্ট। আইন ভঙ্গ করে উল্টোপথে আসায় মামলা দিতে গেলে সার্জেন্ট মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহর ওপর আক্রমণ চালিয়ে জব্দ করা কাগজ ও পুলিশের ওয়ারলেস সেট নিয়ে পালিয়ে যান এস এ মালেক। পরে গাড়িসহ তাকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় গত রোববার সার্জেন্ট মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ‘রোববার দুপুর একটার দিকে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি (ঢাকা মেট্রো খ ১৫-৫৫৩৫) নিমতলী ক্রসিং থেকে উল্টো পথে আসতে দেখে সিগন্যাল দিয়ে থামাই। গাড়ির কাগজ দেখতে চাইলে চালক ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস কাগজ দেন। বাকি কাগজ চাইলে ইনস্যুরেন্সের কপি বের করে দেন। তখন ইনস্যুরেন্সের কপিটি জব্দ করে মামলা দিতে গেলে গাড়ির ভেতর থেকে গালাগালি শুরু করেন এস এ মালেক। বারবার শান্ত করার চেষ্টা করা হলে তিনি আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে বলেন, ‘তোকে মেরে ফেলবো, তুই কেন আমাকে মামলা দিবি।’ এই বলে আমার ইউনিফর্মের কলার চেপে ধরেন, টেনে নেমপ্লেট ছিড়ে ফেলেন। টান দিয়ে বেতার যন্ত্র ও ইনস্যুরেন্সের কাগজ নিয়ে যান। তার টানে ইনস্যুরেন্স কাগজটি ছিড়ে যায়।’
এ ঘটনার পর শাহবাগের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে শাহবাগ থানার মোবাইল পার্টিকে খবর দিলে অভিযুক্ত এস এ মালেক সার্জেন্টকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় হাইকোর্টের প্রধান ফটকের সামনে থেকে বিএমডব্লিউ গাড়িসহ এস এ মালেককে আটক করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ‘গাড়িটি আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি এস এ মালেককে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ