শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ইন্তিফাদার সেই কালো পোশাক পরা তরুণী

ফিলিস্তিনী খ্রিস্টান তরুণী মিশেলাইন আওডা

২৮ ডিসেম্বর, দ্য ডেইলি স্টার : হলুদ স্যান্ডেল হাতে নিয়ে কালো পোশাকের একজন ফিলিস্তিনি নারী ইসরাইলি পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে মারছে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া এই ছবিটি ৩০ বছরের পুরনো।

ছবিটি তুলেছিলেন আলফ্রেড ইজোবযাদেহ।

দখলকৃত পশ্চিম তীরের বেইট সাহোর গ্রামে ওই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছিল।

কিন্তু ছবির সেই নারীর পরিচয় এই এতো বছরেও কারো জানা ছিল না।

তবে এই এতো বছর পর তার পরিচয় জানা গেছে।

তার নাম মিশেলাইন আওডা।

ইসরাইলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদে ১৯৮৭ সালে ‘ইন্তিফাদা’ বা গণজাগরণের আন্দোলন শুরু করে ফিলিস্তিনিরা।

ওই আন্দোলনে ১৪০০জন ফিলিস্তিনি আর ২৭১ জন ইসরাইলি নিহত হয।

২০০০ সালে দ্বিতীয় দফার ইন্তিফাদা শুরু হয়েছিল, যাতে মারা যায় ৩৩৯২ জন ফিলিস্তিনি আর ৯৯৬ জন ইসরাইলি।

মিশেলাইন বলছেন, আমার পরনে ছিল কালো স্কার্ট, হলুদ স্কার্ফ আর হলুদ স্যান্ডেল।

তিনি একজন ফিলিস্তিনি খৃস্টান। ওই ঘটনার দিন তিনি ছিলেন সেখানকার চার্চে।

মিশেলাইন বলছেন, ‘সেদিন আমার বিশেষ একটি ম্যাসের অনুষ্ঠান ছিল, তাই ওরকম কালো পোশাক পরেছিলাম। সেদিন কোন বিক্ষোভ হবে বলে ভাবিনি।’

‘কিন্তু আমি দেখতে পেলাম, ইসরাইলি সেনাবাহিনী এসে তরুণদের সঙ্গে লডাই শুরু করেছে। আমি সেই তরুণদের সঙ্গে তখনি যোগ দিলাম।’ তিনি স্মরণ করছেন।

‘এক সময় আমি দৌড়াতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু স্যান্ডেল পরে দৌড়াতে পারছিলাম না বলে সেগুলো খুলে হাতে নিলাম।’

তিনি বলছেন, ‘একসময় নিচু হয়ে একটি পাথর ছুড়ে ইসরাইলিদের দিকে ছুড়ে মারলাম। কিন্তু আমি জানতাম না কেউ আমার ছবি তুলছে।’

মিশেলাইন আওডার বযস এখন ৬৩। তিনি স্থানীয় একটি হোটেলে চাকরি করেন।

তার দুই সন্তান রযেেছ, কিন্তু তিনি চান না, তারা আবার এরকম কোন সহিংসতায় জড়িয়ে পড়–ক।

হলুদ স্যান্ডেল হাতে ছবিতে বিখ্যাত হলেও, এখন অবশ্য তার আর কোন হলুদ রঙের স্যান্ডেল নেই।

জেরুসালেম ইস্যুতে মার্কিন-ইসরাইলি নীতি রুখতে হামাস-হিজবুল্লাহর যৌথ কমান্ডজেরুজালেম নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মোকাবেলায় হিজবুল্লাহ এবং হামাস একটি যৌথ কমান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লেবানন ভিত্তিক নিরাপত্তা সূত্রটি দেশটির ‘দি ডেইলি স্টার’ সংবাদ মাধ্যমকে মঙ্গলবার জানিয়েছেন, যৌথ সমন্বয় কমান্ড প্রতিরোধকামী দু’টি সংগঠনের মধ্যে রাজনৈতিক, সামরিক এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে যে কোনো অপারেশন পরিচালনা করবে।

যৌথ কমান্ড হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী ‘প্যপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটস’ বা হাশদ আশ-শাবি এবং অন্যান্য প্রতিরোধকামী সংগঠন থেকে প্রতিনিধি যোগার করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে একত্রিত করবে বলে ওই সূত্রটি জানিয়েছেন।দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে গঠিত যৌথ কমান্ড বিষয়ে খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলেও জানান তিনি।প্রসঙ্গত, গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দিয়ে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব শহর থেকে পবিত্র শহরটিতে স্থানান্তরের নিন্দেশ জারি করেন।বায়তুল মুকাদ্দাস বিষয়ে নেয়া ট্রাম্পের তড়িৎ নীতির বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্রসহ বিশ্ব সমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইসরাইল-মার্কিন বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। এছাড়া, ট্রাম্পের স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বেশিরভাগ দেশ ভোট দিয়েছে। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল পিছু না হটে জেরুজালেম নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ