বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সাদুল্যাপুরে কালী মন্দিরকে কেন্দ্র করে মিথ্যা মামলা দায়ের

সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার একটি কালী মন্দিরের পুরহিত কর্তৃক জায়গা ও কষ্টি পাথর আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এ ঘটনাটি ধামা-চাপা দিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে উল্টো মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে পুরহিত। সম্প্রতি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বন্গ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ মন্দুয়ার বারোয়ারী কালী মন্দিরের দায়িত্বরত পুরহিত শ্রী অনিল চন্দ্র চক্রবর্তি নিজ স্বার্থ হাসিলের লক্ষে মন্দিরের রক্ষিত শিবলিঙ্গের একটি কষ্টিপাথর আত্মসাত করেন। এছাড়াও অভিযুক্ত অনিল চন্দ্র পুজা মন্ডপের নামীয় জমি তার তিন ছেলে নামে ভুয়া দলিল দেখিয়ে জোরপুর্বক দখলে চেষ্টা করে আসছে। মন্দিরের হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয়রা এবিষয়ে অনিল চন্দ্রের নিকট জানতে চাইলে তাদেকে নানা হুমকি প্রদর্শন করে আসে। এমনকি অভিযুক্ত অনিল চন্দ্র নিজের অপবাধ ঢাকতে উল্টো প্রতিপক্ষেদের বিরুদ্ধে একধিক মিথা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার তৎকালী তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই পুলক চন্দ্র তদন্ত করলে অনিল চন্দ্রের অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রানিত হয়। প্রতিপক্ষের মধ্যে শ্রী প্রভাত চন্দ্র অধিকারী (ভানু) সঠিক ঘটনা উদঘাটনের লক্ষে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য অনিল চন্দ্র গংদের অভিযুক্ত করে সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন সরকার, গাইবান্ধা জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুর্য বকশী ও সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পাল সহ দায়িত্বে থাকা আরও অনেকে ঘটনাটি তদন্ত করেছেন। এছাড়াও সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রহিমা খাতুন ওই ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য সাদুল্যাপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে অনিল চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, আমি কষ্টি পাথর আত্মসাৎ করেনি এবং জায়গার ভুয়া দলিলও করিনি। নানা ভাবে হয়রানী ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ