সৈয়দপুরে সন্ত্রাস-মাদক বিরোধী সমাবেশে ২৬ মাদক বিক্রেতার আত্মসমর্পন
সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা : নীলফামারীর সৈয়দপুরে গতকাল বুধবার দুপুরে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী র্যালি ও সমাবেশে ২৬ জন মাদক বিক্রেতা আতœসর্মপন করেছে। এসময় শহরে ৪০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আত্মসমর্পন করা মাদক বিক্রেতারা হচ্ছেন, কাল্টি(৪৫), বাবুয়া (৪০), বেবি (৪৫), ভুপতি (৫৮), সাধু(৬০), সোহেল(৩২), জাহাঙ্গীর( ৪৫), দিনেশ(৩৫), চুকচুক (৩০), মহির(৪৭), মোমিনুর বকরী (৩৫), ইকবাল(৩২), আলম(২৮), বুচিয়া(৪২), আমিনুল(৪২), ওহেদুল(৩৫), রাজু(৩১), ইসমাইল(৩৮), মোন্নাফ(৫৫), ইমতিয়াজ(২৬), রহিম(২৭), রাজু(৩১), মোতালেব(৪০), বাবু(৪২) ও মান্নান(৪২)।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম, পিপিএম উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ইসলাম জঙ্গীবাদকে সর্মথন করেনা। যারা জঙ্গীবাদ করছে তারা বুঝে নয়তো না বুঝে করছে। ইসলামকে কলুশিত করার জন্যই জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ, সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল,নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ডাবলু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ২৬ জন চিহ্নিত মাদকসেবী ও বিক্রেতা আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেন। এর মধ্যে তিন জন নারী মাদক বিক্রেতা রয়েছেন।
মাদক বিক্রেতা রেজিয়া আক্তার কালঠি বলেন, আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। আমাকে ফিরে আসতে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সহযোগিতা করেছেন।
কমিউনিটি পুলিশিং সৈয়দপুরের আয়োজনে ও সৈয়দপুর থানার সহযোগিতায় র্যালিটি শহরের জিআরপি পুলিশ ক্লাব থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে সাইকেল নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দলের নেতরা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পুলিশসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।