ছড়া
নতুন বছর
জাকির আজাদ
নতুন বছর নতুন দিনে
আয় আনন্দে মাতি,
ছোটো বড় গরিব দুঃখী
তাদের করে সাথী।
কে যে শ্রমিক কুলি মজুর
কৃষক জেলে তাঁতী,
ভুলে গিয়ে সকল বিভেদ
মিলনে বুক পাতি।
যাদের ঘরটা আঁধার ভরা
দেইরে তাতে বাতি,
মসৃণ পথে চলবো সবাই
বুকে আশা গাঁথি।
নতুন বছর নতুন দিনে
আয় আনন্দে নাচি,
রঙিন ফিতা কাটবো সবাই
ধরে একই কাঁচি।
হিংসা ভুলে থাকবো সবাই
সবার কাছাকাছি,
নতুন বছর নতুন দিনে
শান্তি সুখ বাঁচি।
ছড়া
হামীম রায়হান
ছড়া হলো মজার জিনিস,
ছন্দে ছন্দে খেলা,
ছড়া তুমি ভাসতে পারো
অচিনপুরে ভেলা।
নীল আকাশে পদ্ম ফোটে
বাঁশবাগানে চাঁদ,
ছড়ায় জাগে দৈত্য দানব,
সব হয়ে যায় বাদ।
ময়না পাখি গয়না পড়ে,
টিয়ে করে বিয়ে,
বৌ কথাও কয় না কথা
রই অভিমান নিয়ে।
বর্ষা এলে বৃষ্টি ধরে
টাপুর টুপুর গান,
ছড়ায় ছড়ায় চিল নিয়ে যায়
আমার সাধের কান।
দিশেহারা
মুহাম্মাদ আবু আখতার
পাপের মাঝে সুখের আশা
করছে যেসব বোকা,
দুঃখের সাগর পাড়ি দিয়ে
খাচ্ছে তারা ধোঁকা।
আলো ছেড়ে অন্ধকারে
করছে মাতামাতি,
অশান্তি আর দুঃখ-বিষাদ
বাড়ছে রাতারাতি।
সুখের খোঁজে পাপের পথে
চলছে লাগাম ছাড়া,
মরীচিকার পিছে ছুটে
হচ্ছে দিশাহারা।
আজও কাঁদে
খন্দকার আল মামুন
মায়ের চোখে জল ঝরছে
প্রিয় ছেলের শোকে,
আদর করে যেই ছেলেকে
রাখতো আপন বুকে।
একাত্তরে শুনলো যখন
যুদ্ধে যাবার ডাক,
দেখলো তখন হায়েনারা
ছাড়ছে ভীষণ হাঁক।
মায়ের কাছে বিদায় নিয়ে
সেই যে নিঝুম রাতে,
অস্ত্র হাতে চললো ছুটে
মুক্তিসেনার সাথে।
যাবার বেলা বলে গেলো
প্রিয় মায়ের কাছে,
মুক্ত হয়ে স্বাধীন বেশে
ফিরবো তোমার কাছে।
বিজয় এলো-মুক্ত হলো
ফিরলোনা ঐ ছেলে,
মা যে তার আজও কাঁদে
চোখের পানি ফেলে।
ভূতের বাড়ি
পলক রায়
ভূতের সাথে যাবে খোকা
দেখতে ভূতের বাড়ি
গভীর রাতে আসবে নিতে
আসবে ভূতের গাড়ি।
সাহস করে রাতটি জেগে
আছে ছোট খোকা
একা একা ভাবে খোকা
দিবে নাকি ধোঁকা?
মাছ ভাজা আর তেলের পিঠা
ভূত বন্ধুটির জন্য
কেমনে খাবে দেখবে খোকা
হবে সে যে ধন্য।
অবশেষে গেলো খোকা
ভূত বন্ধুটির বাড়ি
দেখলো খোকা হাড় আর কংকাল
ভর্তি হাড়ি হাড়ি।
নাকে এলো খোকার যেন
পঁচা লোকের গন্ধ
ভয়ে কাঁপে ছোট খোকা
ভেঙে গেলো স্বপ্ন।
হাসির সকাল
আমিনুল ইসলাম কাইয়ূম
নতুন বছর-নতুন বছর
নতুন-নতুন পাতা ॥
মাথার ওপর- নতুন দিন।
স্বপ্ন রঙিন ছাতা ॥
নতুন দিনের নতুন পাতায়,
নতুন কিছু লেখি ॥
নতুন কথায় মন মাতিয়ে
খুশির সকাল দেখি ॥