বছরের শুরুতেই ইসরাইলী বাহিনীর গুলীতে নিহত ফিলিস্তিনী কিশোর
৪ জানুয়ারি, টাইমস অব ইসরাইল/আলজাজিরা : ২০১৮ সালের শুরুতেই ইসরাইলী দখলদার বাহিনীর গুলীতে নিহত হয়েছেন ১৭ বছরের এক ফিলিস্তিনী কিশোর। ফিলিস্তিনী কর্মকর্তারা জানান, বুধবার দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরের কিশোর মুসাব ফিরাজ আল-তামিমিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরাইলের সেনারা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া আকরা জানান, দখলদার বাহিনীর সেনারা মুসাবের গলায় গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের পরপরই তার মৃত্যু হয়। মুখপাত্র জানান, ইসরাইলের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় তাকে গুলি করা হয়।
ইসরাইলের সংবাদমাধ্যমকে দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, নিহত মুসাবের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তবে আল জাজিরার পক্ষ থেকে ইসরাইলি সেনাদের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। ইসরাইলি সেনাদের এক মুখপাত্র জানান, মুসাবের হত্যাকা-ের সময়কার পরিস্থিতি তদন্ত করা হবে।
নিহত মুসাবে তামিমি পরিবারের সদস্য এবং নাবি সালেহ গ্রামের পাশেই বাস করতেন। এই গ্রামেরই মেয়ে আহেদ তামিমি ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। ১৯ ডিসেম্বর ইসরাইলি সেনারা আহেদ তামিমিকে গ্রেফতার করে। এরপর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে।
আহেদ তামিমির বাবা অভিযোগ করেছেন, ইসরাইল তামিমির মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্যই তাকে কারাগারে রাখতে চায় দখলদার বাহিনী।
৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ করে আসছেন। বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলের সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন। এ পর্যন্ত ১৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছে।
মুসাবের হত্যাকা-ের সঙ্গে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। তবে ২০১৮ সালে ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক প্রথম নিহত ফিলিস্তিনি তিনি।