শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সেই তোরাব আলী মারা গেছেন

স্টাফ রিপোর্টার: গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীয় অবস্থায় পিলখানা হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে খালাস পাওয়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। গত ৩ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারাগার থেকেই ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 তোরাব আলী পিলখানা হত্যাযজ্ঞের মামলা থেকে খালাস পেলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছায় তিনি মুক্তি পাননি। ময়নাতদন্তের জন্য তোরাব আলীর মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
২০১৭ সালের ২৭ নবেম্বর বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ আলোচিত এ মামলার আপিলের রায়ে তাকে খালাস দেন। এর আগে পিলখানার মামলায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি তোরাব আলীকে জজ আদালতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদফতরে বিদ্রোহের ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জন নিহত হন। ওই হত্যাকান্ডে সহায়তার অভিযোগে তোরাব আলীকে ৩০২ ধারায় সাজা দিয়েছিলেন জজ আদালতের বিচারক।
তোরাব আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছিল, বিডিআরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে তিনি সুপরিকল্পিত এ বিদ্রোহের কথা আগেই জানতে পারেন। কিন্তু তিনি তা কর্তৃপক্ষকে জানাননি। উল্লেখ, একই মামলায় বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুও রাজশাহী কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের ৩ মে হৃদরোগে মারা গেছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ