শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি প্রকল্প

খুলনা অফিস : গত সাড়ে তিন বছরেও দৃশ্যমান হয়নি ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনার ডুুমুরিয়ার শাহপুরের নির্মাণাধীন ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির (আইএলএসটি) প্রকল্পটি। শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সকল কার্যক্রম। এ অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবশ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন মন্ত্রণালয় থেকে অর্থের ছাড় না মেলায় কাজ আরম্ভে এ বিলম্ব হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদ সাব সেক্টরের অবদান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ডিম, দুধ ও গোশের গুরুত্ব অপরিসীম। খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রাণিজ আমিষ বিশেষ করে ডিম, দুধ এবং গোশের অনেক ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে আইএলএসটি হতে প্রাণিসম্পদের ওপর ডিপ্লোমাসহ সমমানের অন্যান্য কোর্সের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুরে ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির (আইএলএসটি) নির্মাণে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণায়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। এ কাজের জন্য তিন একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এ পর্যন্ত জমির মূল্য বাবত পরিশোধ করা হয়েছে ৭০ লাখ ১৭ হাজার টাকা। নির্মিতব্য এ প্রকল্পে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবন, ভেটোরিনারী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরী, অডিটোরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া এবং শিক্ষক ডরমেটরি, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ডরমেটরী, ছোট প্রাণী এবং বড় প্রাণীর জন্য ফার্ম বিল্ডিং প্রিন্সিপ্যাল কোয়াটার, ছাত্র হোস্টেল ও ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণ এবং বাকী জায়গায় রাস্তা ও খেলার মাঠ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ভবন নির্মাণের পাশাপাশি লাইভস্টক ডিপ্লোমা কোর্স কারিক্যুলাম প্রণয়ন, কারিক্যুলাম অনুযায়ী বই তৈরি করে প্রিন্টিং করা এবং কোর্স চালুরও কার্যক্রমও রয়েছে এ প্রকল্পে।
ফলে কৃষক ও খামারীদের রোগমুক্ত, সুস্থ গবাদি পশু, হাঁস-মুরগী উৎপাদনে পরামর্শসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ডিম, দুধ ও গোশের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অনন্য অবদান রাখবে। শিশু খাদ্য প্রাপ্তি ও নিশ্চিত হবে, নারীরা গবাদি প্রাণী ও হাঁস-মুরগী লালন-পালনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও আয়বৃদ্ধি করে জীবনমান উন্নয়ন করতে সহায়ক হবে। কিন্তু প্রকল্পটি ২০১৪ সালের পয়লা জুলাই থেকে শুরু হলেও, জমি অধিগ্রহণ করে পাইল নির্মাণ শুরু করতেই চলে গেছে প্রায় সাড়ে তিন বছর। এখনও ভবন নির্মাণ কাজ এখনও দৃশ্যমান করা সম্ভব হয়নি। শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সকল কার্যক্রম। এ অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অবশ্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রকল্পের কাজের জন্য বুয়েটে পুনরায় মাটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টের ওপরই নির্ভর করছে পরবর্তী কাজের অগ্রগতি। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে অর্থের ছাড় মিলছে না। যার ফলে জমি সংক্রান্ত জটিলতায় কাজটি শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার সৈয়দ মো. আনোয়ার উল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করতে কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সব ধরনের জটিলতা দূর করে কাজ শুরুও জন্য নিরন্তর চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার ও একটি টিম নির্ধারিত ওই জমি পরিদর্শন করেছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ