শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

জেলে সরদারকে আটকের চেষ্টাকালে সীতাকুণ্ডে তিন পুলিশকে এলাকাবাসীর গণধোলাই

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : সীতাকুণ্ডে এক জেলে সদ্দারকে অহেতুক আটকের চেষ্টাকালে তিন পুলিশকে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। এসময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মির্জানগর জেলে পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তবে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,আসন্ন মাঘী পূর্ণিমায় জেলে পাড়ায় অনুষ্ঠিতব্য মহোৎসবের বিষয়ে সন্ধ্যায় এলাকার বেশকয়েকজনকে নিয়ে জেলে বাড়ির পাশের একটি খোলা মাঠে মিটিং এ বসেন সরদার বাদল জলদাশ। এসময় সেখানে একটি সিএনজি অটোরিক্সা দাঁড়ানোর পর সাদা পোশাক পরিহিত সীতাকুণ্ড থানার এসআই বেলায়েত উল্ল্যাহ,টিকলো মজুমদার ও এএসআই এমদাদ সিএনজির ভেতর থেকে বাইরে আসেন। তারা কোন অভিযোগ ছাড়াই  জেলে সরদার বাদল সরদারকে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে টেনে হিচড়ে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলেন। এসময় উপস্থিত জেলেরা আটকের কারণ জানতে  চেয়ে প্রতিবাদ করেন। এতে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে জেলে পাড়ার শত শত লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাদা পোশাকের তিন পুলিশকে গণধোলাই দেয় এবং রাইফেল কেড়ে নেয়। এসময় হামলার শিকার হওয়া তিন পুলিশ সিএনজি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে কিছুদুর যাওয়ার পর উত্তেজিত লোকজনকে রাইফেল ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। এতে স্থানীয় এক যুবক জনতার হাত থেকে রাইফেলটি নিয়ে পুনরায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
জেলে পাড়ার সরদার বাদল জলদাশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,সন্ধ্যায় আমরা কয়েকজন মিলে মাঠে বসে পুজার বিষয়ে আলাপ করছিলাম এসময় একটি সিএনজি করে সাদা  পোশাকে কয়েকজন পুলিশ এসে আমাকেসহ দুইজনকে গাড়িতে তুলে নিলে এর প্রতিবাদ করে সবাই। পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর রোষাণলে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তারা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সীতাকুণ্ড থানার এস আই বেলায়েত উল্ল্যাহ পুলিশের উপর হামলা ও রাইফেল ছিনতাইয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান,বিকালে আমরা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতারের জন্য ভাটিয়ারী মির্জানগর এলাকায় যায়। আসার পথে জেলে পাড়ার খোলা মাঠে জোয়ার আসর চলাকালে আমরা বাদল জলদাশ নামে একজনকে আটক করি। কিন্তু স্থানীয়রা তাকে তাদের সরদার পরিচয় দেওয়ার পর আমরা তাকে ছেড়ে দিয়েছি।
অপরদিকে সীতাকুণ্ড থানার এস আই বিষয়টি অস্বীকার করে জানান,স্থানীয়রা আমার বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। গতকাল আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।
ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান,“ জেলে পাড়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনাটি শুনার পর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিতে আমি সীতাকুণ্ড থানায় একাধিকবার ফোন করেছি। কিন্তু ওসি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান বলেন,আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা।  জেলে পাড়ায় আসামী ধরতে যাওয়া এবং হামলার ঘটনার বিষয়ে থানায় কর্মরত কোন পুলিশ আমাকে অবহিত করেননি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ