শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সরবরাহ থাকলেও চড়া সবজির বাজার

স্টাফ রিপোর্টার : শীতের সবজিতে ভরপুর রাজধানীর কাঁচাবাজার। তবে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত হলেও দামে ভাটা পড়েনি একটুও। বরং অন্যান্য বছরের এই সময়ের তুলনায় খুচরাতে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মৌসুমী সবজি।
ভরা মৌসুমে সবজির দাম না কমায় ক্রেতাদের মন্তব্য- সবজির বাজার এখন আর অর্থনীতির সূত্র মানে না। এ জন্যই সবজির ভরা মৌসুমেও দামে খুব একটা প্রভাব পড়ে না।
 ভোক্তাদের অভিযোগ,বাজারে মনিটরিং না থাকার কারণেই পণ্য মূল্য কমছে না। এতে করে ক্রেতার নানা ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাদের অভিযোগ সরকার যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতো তাহলে কোনভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রনহীন হতো না। বাজারে পন্য সরবরাহের কোন অভাব নেই। তারপরেও কেন পন্য মূল্য কমছে না।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি কোনো সবজিরই। খুচরা বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সেখানেই দাম কমেনি। আর স্বভাবতই সেই প্রভাব পড়েছে খুচরায়।
গতকাল  শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, মোহাম্মাদপুর কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় সাইজের ফুলকপি ৪০ টাকা প্রতি পিস, শসা ৪০ টাকা কেজি, পেপে ৩০ টাকা কেজি, সিম প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বেগুন (কালো) ৬০ টাকা, বেগুন (সাদা) ৭০ টাকা টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা এবং মটরশুটি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা  কেজি দরে।
 মোহাম্মাদপুর বাজারে বাজার করতে আসা আনাস ভূঁইয়া বলেন, অন্যান্য বছরে শীতের সময় সবজির দাম কমে। কিন্তু এবার কমা তো দূরের কথা,  একবার বাড়লে আর কমছে না। দাম বাড়ার ব্যাপারে সবজি বিক্রেতা শফিক জানান, এখন সবজির সরবরাহ একটু কম। তাই দামও একটু বেশি। তবে সামনে কমতে পারে।
তবে হাতিরপুল বাজারের ক্রেতা মোস্তফা কামাল বলেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকলে হুট করে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু পরে সরবরাহ বাড়লেও দাম সহসা কমে না। তিনি বলেন, ভাই আমাদের দেশে সবজির মৌসুম আছে কিন্তু দামের কোনো মৌসুম নাই।
গতকাল শুক্রবার বাজারে দেখা গেছে, দেশি ছোট পেঁয়াজের দাম সবসময় বেশি এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম থাকে কম। কিন্তু আজকের বাজারে দুই ধরনের পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকা দরে। এছাড়া আদা ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, মরিচ ১২০ টাকা এবং রসূন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আমদানি করা মশুরের ডাল কেজি প্রতি ৮ টাকা এবং দেশি ১২০ টাকা  কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যাবধানে চালের দাম বাড়েনি। মোটা স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, বিআর২৮ ৫০ টাকা, মিনিকেট (ভালো) ৬২ টাকা, মিনিকেট (নরমল) ৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা , তেলাপিয়া ১৪০-১৮০, সিলভার কার্প ২০০-২৫০, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০, পাঙ্গাস ১৫০-২৫০, টেংরা ৬০০, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা ও প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকায় বিক্রি
তবে মাংসের বাজরে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি। গরুর মাংস ৪৮০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গুঁড়ো দুধে মেলা মাইনের পরিমান বেশি পাওয়ার বেশ কয়েকটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এতে করে বাজারে বেড়েছে গুঁড়ো দুধের দাম। আর এ কারণেই বাজারে গুঁড়ো দুধের সরবরাহ অনেক কমে গেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ