শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সিংড়া পৌরসভার মোড়ে মোড়ে চলছে শীতকালীন পিঠা বিক্রির ধুম

আবু জাফর সিদ্দিকী, সিংড়া (নাটোর) থেকে: নাটোরের সিংড়া পৌরসভার মোড়ে মোড়ে শীতকালীন পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। সিংড়া পৌর বাস টার্মিনাল, মাদরাসা মোড়, বুড়াপীর তলা, বালুয়া বাসুয়া মোড়, দমদমা মোড়,থানার মোড় সহ পৌর শহরের অলিতে গলিতে জীবিকার তাগিদে দেয়া শীতকালীন পিঠার এসব দোকান জমে উঠেছে। অফিস কিংবা বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষরা পিঠা খেতে ভীড় জমায়। এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। অল্প পুঁজিতে এই ব্যবসায় লাভবান হওয়া যায়। তাই ছেলেদের পাশাপাশি রাস্তায় বসে পিঠা তৈরিতে অনেক সময় মহিলাদেরও দেখা যাচ্ছে।

সিংড়া পৌর বাস টার্মিনালের সামনে চিতই পিঠা বিক্রেতা চকসিংড়া মহল্লার আ: হাকিম জানান, দীর্ঘ ১৮বছর যাবত শীতের শুরুতেই ধনিয়ার পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়ে চিতই পিঠা বিক্রি শুরু করি। শীত বাড়ার সাথে সাথে পিঠা বিক্রিও বেড়ে যায়। প্রতিদিন আছর নামাযের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২-১৬ কেজি চালের আটার পিঠা বিক্রি করি। প্রতি ৭পিচ পিঠা ১০টাকায় বিক্রি হয়। সন্ধ্যার পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। প্রতিদিন ১৮০০-২০০০ টাকার পিঠা বিক্রি করি। এর মধ্যে পিঠা তৈরির সামগ্রীর খরচ বাদে ৫০০-৭০০টাকা লাভ থাকে। শীতের শুরু থেকে ৩-৪ মাস পিঠা বিক্রির পরে রিক্সা ভ্যান মেরামত করে ৫জন সদস্যের সংসার চালাই।

ভাপা পিঠা বিক্রেতা পৌর শহরের শোলাকুড়া মহল্লার মুক্তার হোসেন (৫৫) জানান, ১০বছর যাবত ভাপা পিঠা বিক্রি করছি। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় ৬ কেজি চালের আটার ভাপা বিক্রি করি। প্রতি পিচ পিঠা ৫-১০টাকায় বিক্রি হয়। ৩ মাস পিঠা বিক্রির পর আখের রস বিক্রি করে ৫জন সদস্যের সংসার চালাই।

পিঠা ক্রেতা আঃ রহমান বলেন, পিঠা মুখরোচক খাবার। তাই মাঝে মাঝে বাজারে পিঠা খাই। বগুড়া থেকে আসা মিঠুন নামে একজন বলেন, বাড়িতেও পিঠা তৈরি হয় কিন্ত বাজারে দোকানে বন্ধুদের সাথে মজা করে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ