শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ক্ষমা চাইলেন কামাল বাবু

স্পোর্টস রিপোর্টার: নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত রহমতগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ কামাল আহমেদ বাবু। নিয়ম ভেঙ্গে মাঠে ঢুকে রেফারির সঙ্গে খারাপ আচরণ করার কারণে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে কামাল বাবু ও তার ক্লাব রহমতগঞ্জকে। বাফুফের কারণ দর্শানো চিঠি পাওয়ার পরই ফেসবুকে নিজের ওয়ালে তিনি অনুশোচনা করে এক পোস্ট দিয়েছেন। পাশাপাশি তার ক্লাবও দিয়েছে বাফুফের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব। উভয় ক্ষেত্রেই কৃতকর্মের  জন্য চাওয়া হয়েছে ক্ষমা। মাঠে কামাল বাবুর বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য বাফুফে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে তার ক্লাব রহমতগঞ্জকে। ক্লাব বাফুফেকে চিঠির জবাবে বলেছে, ‘ কোচ যা করেছেন, তা ঠিক হয়নি। শাস্তি প্রদান করা না করে তাকে যেন ক্ষমা করে দেয়া হয়।’এ সম্পর্কে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন,‘আমরা রেফারি,ম্যাচ কমিশনারের প্রতিবেদন এবং মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্টগুলো আমলে নিয়ে সবকিছু ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে পাঠিয়েছি। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে সভা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। রোববার ডিসিপ্লিনারি কমিটি সভা করে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা ফুটবলের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রেফারির দেয়া পেনাল্টির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে করতে কামাল বাবু ঢুকেছিলেন মাঠে। 

তিনি গোল পোস্টের কাছাকাছি গিয়ে তর্ক করেছেন রেফারির সঙ্গে। ডাগআউটের নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া কোচের যেখানে বের হওয়া আইনসিদ্ধ নয়, সেখানে মাঠের মধ্যে চলে যাওয়ার কারনেই এখন বাবুকে শাস্তির খড়গে পড়তে হতে পারে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ বাইলজের ব্যাখ্যায় বলেছেন,‘বাইলজে উল্লেখ আছে কোনো খেলোয়াড় এ ধরনের অপরাধ করলে তার শাস্তি কমপক্ষে ২ ম্যাচ বহিষ্কার।

 অফিসিয়ালদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪ ম্যাচ। আর জরিমানা হতে পারে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা। কমিটি অপরাধের ধরণ বিবেচনা করে বিভিন্ন রকম শাস্তি দিতে পারে। আমাদের ডিসিপ্লিনারি কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। কমিটির কারোরই কোনো ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। তারা বাইলজ অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেবেন।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ