আলুচাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছে
রাজশাহীর বাগমারায় রবি মওসুমের এলাকার প্রধান অর্থকারী ফসল আলু। মাঠে মাঠে আলুর ফসলি জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে এই এলাকায় আলু বেশী পরিমান হওয়ায় এই অঞ্চলের মওসুমের জনপ্রিয় ফসল আলু। কিন্তু গত ৩ বছর ধরে আলুচাষিরা স্টোরজাত আলুর দাম কমসহ হিমাগারের বেশী ভাড়ায় আলু চাষে আগ্রহ হারিয়েছিল। এবারে প্রথম দিকে আলুর দাম পেলেও পরে দাম পড়ে যাওয়ায় কৃষককেরা ব্যাপক ক্ষতিতে পড়ে। তবে লোকশানের বুঝা মাথায় নিয়ে পুনরায় লাভের আশায় কৃষকরা আলুচাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জানা গেছে, বাগমারা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আলুচাষের মাটি উপযোগী। উর্ব্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়ায় এলাকায় প্রচুর পরিমানে আলু চাষ হয়। বিগত বছর আলুর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে বেশী লাভের আসায় অধিক আলু চাষে কৃষকরা ঝুঁকে। কিন্তু মওসুমের শুরু থেকে আলুর মূল্য হ্রাস ও হিমাগার ভিত্তিক চক্রের কারণে কৃষকরা আলু নিয়ে কয়েক বছর বিপাকে পড়ে। গত বছর প্রথম দিকে আলুর দাম বেশী ছিল। তবে পরবর্তিতে আলুর চাহিদা কমে এলাকার কৃষকদের আলু স্টোরে ৩০০ শ’ টাকায় প্রতি বস্তা (৮৫) কেজি বিক্রি করে। এতে করে বস্তা প্রতি আলুচাষিরা ৮০০ শ’ টাকা লোকশান গুনে। এ বছর উপজেলায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এদিকে মওসুূমে আলু বিক্রির পর অতিরিক্ত আলু এলাকার কৃষকরা স্টোরজাত করে। এলাকায় যে পরিমান স্টোর রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম সংকলণ ক্ষমতা। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর সভা মিলে ৪টি স্টোরে ৮ লক্ষ বস্তা রাখা যায়। স্টোরগুলোর ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত আলু হওয়ার কারণে এলাকার আলুচাষিরা আলুর স্টোরগুলোর (হিমাগার) মধ্যস্বত্ব ভোগী সিন্ডিকেটের হাতে ধরাশায় হয়ে পড়ে।
আলুচাষিরা জানান, মওসুমের আলু বিক্রির পর লাভের আশায় অতিরিক্ত আলু স্টোরজাত করেন। কিন্তু গত কয়েক বছর বাজারে অন্য তরি-তরকারির চেয়ে আলুর দাম নিতান্ত কমে তাদের সে আশা গুঁড়ে বালি হয়। মওসুমের চেয়েও আলুর দাম কমসহ অতিরিক্ত উপকরনের মুল্যে বৃদ্ধি ও শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধিতে গত কয়েক বছর ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রি করতে না পেরে আলুচাষিরা আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।