বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

একটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় পাইকগাছা উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ

খুলনা অফিস: একটি কাঠের ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক বাসিন্দা। হাড়িয়া নদীর উপর নির্মিত শংকরদানা কাঠের ব্রিজ নামে পরিচিত এই সেতু দিয়েই পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়নের বারুইডাঙ্গা এবং লতা ইউনিয়নের শংকরদানা ও তেঁতুলতলা গ্রামের মানুষের প্রতিদিনের আসা-যাওয়া। এখন ভেঙে পড়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এসব এলাকার জনসাধারণ। শংকরদানা কাঠের ব্রিজ সংশ্লিষ্ট এসব গ্রাম চিংড়ি ঘের সমৃদ্ধ। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় ব্যবসায়ীদের শহরের সাথে যোগাযোগও বিচ্ছিন্নপ্রায়। বন্ধ হয়ে গেছে নছিমন-করিমন, ভ্যান-সাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল। ফলে এখানে উৎপাদিত মাছ-সবজি সহজেই শহরে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছেনা। এতে অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাই স্কুলে যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে ব্রিজটি দুই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের চরম ভোগান্তির কারণ হলেও কেউ সংস্কারে এগিয়ে আসছে না। এই ব্রিজের নির্মাতা স্থানীয় সরকার বিভাগও নিশ্চুপ। স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার কপিলমুনি ও লতা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হাড়িয়া নদীর ওপর স্থানীয় সরকার বিভাগ কয়েক বছর আগে শংকরদানা কাঠের ব্রিজ তৈরি করে। দুইশ’ ফুট দৈর্ঘ্যরে পুরাতন ব্রিজটির লতা ইউনিয়ন প্রান্তের অংশ বিশেষসহ ব্রিজের অধিকাংশ সম্প্রতি ভেঙে পড়েছে। এতে নছিমন-করিমন, ভ্যান-সাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এমনকি সাধারণ মানুষও পার হতে পারছে না। যাতায়াত নিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী। সূত্র জানায়, কপিলমুনি ইউনিয়নের প্রান্তে রয়েছে বারুইডাঙ্গা এবং লতা ইউনিয়নের প্রান্তে রয়েছে শংকরদানা ও তেঁতুলতলা। দু’টি ইউনিয়ন চিংড়ি অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এলাকার ঘের মালিকরা কাঠের ব্রিজ দিয়ে তাদের উৎপাদিত মাছ ও চিংড়ি উপজেলা সদর ও বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনিতে সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু ব্রিজটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় মাছসহ অন্যান্য মালামাল বহনকৃত বাহন যাতায়াত করতে পারছে না। এছাড়া শংকরদানা কাঠের ব্রিজটি দু’ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হওয়ায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। লতার ইউপি সদস্য কৃষ্ণ রায় জানান, ব্রিজের অধিকাংশ ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াত নিয়ে এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি। জনভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল হাসান বলেন, কাঠের ব্রিজটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে তিনি শুনেছেন। কিন্তু এটি স্থানীয় সরকার বিভাগের দেখার দায়িত্ব। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছুই করার নেই। তবে, ওই নদীর ওপর পাকা সেতু নির্মাণের জন্য প্রচেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ