শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নাটোরে মিল্কভিটায় দুধ সংগ্রহ বন্ধ ॥ বিপাকে খামারীরা

নাটোর সংবাদদাতা : নাটোর মিল্কভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে দুধ সংগ্রহ বন্ধের নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড। এতে ১৩ সমিতির আড়াই শতাধিক খামারীরা তাদের প্রতিদিনের উৎপাদিত দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার দুগ্ধ উৎপাদনকারী খামারীর সমবায় সমিতির নেতারা কেন্দ্রের কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করে এবং রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রটি পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছে খামারীরা। এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক রেহেনা রহমান (সমিতি) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে  নাটোর দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে দুধ সংগ্রহ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পযন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে এই কেন্দ্রে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাক্সিক্ষত গুণমান ও পরিমাণে দুগ্ধ সংগ্রহ না হওয়া। জানা যায়, ২০০৩ সালে ৩ জানুয়ারি নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডর ৫ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নাটোর দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রেটি চালু হয়। প্রথম দিকে ৬০-৭০টি সমবায় সমিতির সদস্যরা দুধ দিলেও এখন তা কমে ১৩টি সমিতির প্রায় দুই থেকে আড়াইশো সদস্যরা প্রতিদিন দুধ সরবরাহ করেন। কিন্ত গত ১২ ফেব্রুয়ারি এই কেন্দ্রের দুধ সংগ্রহ বন্ধের ঘোষণায় শত শত খামারীরা পড়েছে বিপাকে।  কেন্দ্রটি বন্ধের বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার সমবায় সমিতির নেতারা ওই কেন্দ্রের কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করেছেন। পরে কেন্দ্রের সামনে দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রটি পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন খামারীরা। খামারীরা অভিযোগ করেন খামারের গাভী পালন লোন ও চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুধিদা দেয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে সেগুলো পাওয়া যায় না। এ অব্যবস্থাপনার কারণে ইতিমধ্যে অনেক খামার বন্ধ হয়ে দুধ সরবরাহ কমে গেছে। চৌমুহনী ভোলার হাট সমবায় সমিতির সভাপতি মানিক চন্দ্র সরকার জানান, দুগ্ধ শীতকরণ কেন্দ্র বন্ধ হওয়া আমরা এখন কোথায় দুধ সরবরাহ করবো। বাসুদেবপুর সমবায় সমিতির সভাপতি কালিদাস জানান, আমাদের লোকসান দিয়ে প্রতিদিনের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে হবে এতে আমাদের পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে।
আরেক খামারী জহুরুল ইসলাম জানান,  কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেত কামনা করেছেন। এদিকে নাটোর মিল্কভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, এই কেন্দ্রে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল প্রতিদিন ৩০০ লিটার দুধ সংগ্রহ করতে হবে। কিন্ত দুধ সরবরাহ কমতে কমতে গত মাস থেকে ১৪০ লিটার থেকে ১৭০ লিটার দুধ সরবরাহ হচ্ছে। ফলে গত ১২ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাক্সিক্ষত গুণগত মান ও দুধ সরবরাহের পরিমাণ কমে যাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শুধু দুধ সংগ্রহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ