মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পরিবেশ দূষণের কারণে ৮ প্রতিষ্ঠানকে ৯৪ লাখ টাকা জরিমানা

গাজীপুর সংবাদদাতা: পরিবেশগত ও অবস্থানগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও ইটিপি ব্যাতিত কারখানা পরিচালনা করে এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর দূষিত তরল বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি পরিবেশে নির্গমন করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় সোমবার গাজীপুরের দুইটিসহ পাঁচটি জেলার ৪টি কারখানা, ১টি আবাসিক প্রকল্প এবং ৩টি ইটভাটাসহ মোট ৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট উইং।
পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোজাহিদুর রহমান জানান, পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) পরিবেশ দূষণের দায়ে গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়নগঞ্জ জেলার মোট ৪টি কারখানা, ঢাকা জেলার সাভারের ১টি আবাসিক প্রকল্প এবং টাঙ্গাইল জেলার ৩টি ইটভাটাসহ সর্বমোট ৮টি প্রতিষ্ঠাণের মালিক/প্রতিনিধিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা সদর দপ্তরে এনফোর্সমেন্ট উইংয়ে তলব করে শুনানী গ্রহণ করেন। শুনানী শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কারখানা/ আবাসিক প্রকল্পের আয়তন সম্প্রসারণ, পরিবেশগত ও অবস্থানগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও ইটিপি ব্যাতিত কারখানা/ জেনারেটর স্থাপন ও পরিচালনা করে এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর দূষিত/ নির্ধারিত মানমাত্রা বহির্ভূত তরল বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি পরিবেশে নির্গমন করে জনজীবন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় গাজীপুর জেলার জে.আর.কে কালার এন্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডি) লিমিটেডকে ২লাখ ১৬ হাজার ৮৫৮ টাকা ও ইন্টারলিঙ্ক এক্সেসরিজ লিমিটেডকে ২লাখ ৩৪ হাজার ৬৪ টাকা, মুন্সিগঞ্জের আনোয়ার সিমেন্ট সিট লিমিটেডকে ৪০ লাখ টাকা ও নারায়ণগঞ্জের সজীব এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা, ঢাকা জেলার সাভারের আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের আবাসিক প্রকল্প আশুলিয়া মডেল টাউনকে ৪০ লাখ টাকা এবং টাঙ্গাইল জেলার মেসার্স এম এস ব্রিকস-১কে ৩ লাখ টাকা, মেসার্স এম এস ব্রিকস-২কে ৩ লাখ টাকা ও মেসার্স এম এস ব্রিকস-৩কে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। এর আগে মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট টিম ওইসব কারখানা ও প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ