শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা শেখার ব্যবস্থা থাকবে না কেন? -প্রধানমন্ত্রী

সংগ্রাম ডেস্ক : দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার উন্নয়নে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। সেখানে বাংলা ভাষা শেখার ব্যবস্থা থাকবে না কেন? অবশ্যই থাকতে হবে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দাওয়াত কার্ডও এখন ইংরেজিতে লেখা হয়। এটা কেন লিখতে হবে? ইংরেজি ভাষাভাষীর জন্য সেটা হতে পারে। তবে আমাদের দেশে বিয়ের কার্ড কেন ইংরেজি ভাষায় লিখতে হবে? এর মধ্যে তো কোনো আলাদা মর্যাদা নেই। এ সময় এক সচিবের মেয়ের বিয়ের কার্ড বাংলা ভাষায় লেখায় বেশ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে অন্য ভাষাও শিখতে হবে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে যোগাযোগ বাড়াতে এটা জরুরি। এই সময়ে যে যত বেশি ভাষা শিখতে পারে তার জন্য তত ভালো। তবে সবার আগে ভালোভাবে বাংলা ভাষা শেখাটা জরুরি।  আগে যারা ইংরেজি শিখতো না তারা এখন এ ভাষা শিখতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাংলাকে প্রাধান্য দিয়ে সেক্ষেত্রে আমরা অন্য ভাষার চর্চা করবো। ইংরেজি ভাষার অনেক শব্দও তো আমরা বাংলা ভাষায় গ্রহণ করেছি। ইংরেজি ও বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে ভাষার বিকৃতিকারীদেরও সমালোচনা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আসার পরই বাংলা আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায়। আর ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতিসত্তা প্রকাশের পথ দেখিয়েছিলো। আমাদের প্রতিটি অর্জনের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। অন্য ভাষাও চর্চা করতে হবে কিন্তু মাতৃভাষার মর্যাদাও দিতে হবে। উচ্চ আদালতে বাংলা চর্চা করা প্রয়োজন। মাতৃভাষা চর্চার শিক্ষা পরিবার থেকে নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের হাতে যারা বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়েছিল, তাদের যেন জাতি কোনো সময় ক্ষমা না করে। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে সংকোচ হয়, দেশে এমন পরিস্থিতি যেন আবার ফিরে না আসে। এছাড়া ইংরেজিতে রায় লিখলে সবার কাছে তা বোধগম্যও হয় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান প্রেমীদের কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আবারও দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ