আলুর বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকের
তোফায়েল হোসেন জাকির, সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) থেকে : গাইবান্ধা জেলার কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত সাদুল্যাপুর উপজেলা। এ উপজেলার উচুভূমি ধাপেরহাট, ভাতগ্রাম ইদিলপুর ও রসুলপুর এলাকায় প্রচুর পরিমান জমিতে এবারে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। গতবারের তুলানায় এবার বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। কারণ উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারা মূল্যে অনেকটাই কম বলে জানিয়েছেন কৃষকমহল। ওইসব এলাকায় কৃষকরা দেশী জাতের আলু ছাড়াও হাইব্রিড জাতের কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, স্ট্রীট এবং গ্র্যানোলা জাতের আলু বেশি চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলতে শুরু করেছে।
ধাপেরহাটের হিংগার পাড়া গ্রামের আলু চাষী লেবু মিয়া জানান, প্রতি একরে আলু চাষাবাদে খরচ হয় ৫৫ হাজার টাকা। যার উৎপাদন হয়েছে ১৭৫ মণ। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ আলু (প্রকার ভেদে) ৩০০ থেকে ৩৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে ভাল মুনাফা অর্জন করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
ময়াগাড়ী গ্রামের আলু চাষী আল-আমিন মিয়া জানান, ধাপেরহাট আরভি হিমাগারের এক বস্তা আলু সংরক্ষণ করতে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা খরচ হয়। দেশীয় পদ্ধতিতে কৃষকরা বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করলে খরচ পড়বে প্রতিবস্তা মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা। ৬/৭ মাস পর ওই আলু বের করলে প্রতিমণ আলু ৬/৭শ টাকা দরে বিক্রি করা সম্ভব।
রসুলপুরের বড় দাউদপুর গ্রামের আলু চাষী মোকছেদ আলী জানান, হিমাগার ছাড়াই বাড়িতে আলু সংরক্ষণের পদ্ধতি বর্ণনা করে তিনি বলেন, জমি থেকে উত্তোলনকৃত আলু তুলনা মূলক ভাবে ঠান্ডা ও বায়ু চলাচল করে এমন শুষ্কস্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া এবং ছনের ছাউনি দিয়ে ভূমি থেকে বাঁশের খুঁটি দিয়ে উচুঁ করে ঘর তৈরি করতে হবে। আলুর শ্বাস-প্রশ্বাসের তাপ বের হওয়া এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। মেঝেতে বাঁশের চাটাই কিংবা বালু বিছিয়ে আলু রাখতে হবে। ইত্যাদি ভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে ৬ থেকে ৭ মাস আলু সংরক্ষণ করা যায়।