শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনায় ওএমএস’র চাল বিক্রির প্রভাব পড়েনি খুলনার বাজারে

খুলনা অফিস : গত রোববার থেকে নগরীতে ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল)’র চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার ব্যতিত নগরীর ২০টি পয়েন্টে প্রতিদিন ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএস’র চাল বিক্রি করা হলেও এর বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে। চাল কিনতে এসে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর অনেকের চাল না পেয়ে চলে যেতে হয়। ডিলারদের দাবি প্রতিদিন যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য দাবি করেছেন একাধিক ডিলার। বরাদ্দ বৃদ্ধি করলে চালের দামও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে ৭৭ জন ওএমএস’র ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন ২০ জন ডিলার ২০টি পয়েন্টে এ চাল খোলা বাজারে বিক্রি করবে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ডিলার এক টনের বেশি চাল উত্তোলন করতে পারবে না। প্রতিকেজি চাল ২৮ টাকা ৩০ পয়সা দামে ক্রয় করে ভোক্তাদের মাঝে ৩০ টাকা দামে বিক্রি করবে ডিলার। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচ কেজির বেশি চাল কিনতে পারবে না। শুক্রবার ব্যতিত বাকি ৬ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ চাল খোলা বাজারে বিক্রি করতে হবে। 

একাধিক ডিলারের দাবি, গেল বছর নগরীর ৪০টি স্পটে ওএমএস’র চাল বিক্রি করা হতো। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন ৪০ জন ডিলার দুই টন করে চাল উত্তোলন করে বিক্রি করতেন। কিন্তু সে তুলনায় বরাদ্দ এক টন কমিয়ে আনা হয়েছে এবং ডিলার সংখ্যাও কমানো হয়েছে অর্ধেক। ফলে একদিকে ডিলার ও বরাদ্দ কমানোর কারণে চাহিদা পূরণ করতে পারছে না ডিলাররা। আর এতে বঞ্চিত হচ্ছে হতদরিদ্র পরিবারগুলো। এদিকে গত চার দিন ধরে ওএমএস’র চাল বিক্রি কার্যক্রম চলমান থাকলেও বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে। গত বুধবার নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বাসমতি ৭২ টাকা, মিনিকেট সবচেয়ে ভালো ৬৫ টাকা, মিনিকেট মাঝারি ৬০ টাকা, ২৮ বালাম ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, মোটা (স্বর্ণা) ৪০ থেকে ৪২ টাকা ও জলমা আতপ ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এমন অবস্থা বিরাজ করছে। অথচ চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে গেল ৪ মার্চ থেকে ওএমএস’র চাল বিক্রি শুরু হলেও এখনও বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি। 

নগরীর রায়েরমহল আছরের মোড় এলাকার মেসার্স জিএম ট্রেডার্সের মালিক ডিলার শেখ গোলাম মোর্তজা বলেন, সপ্তাহে এক টন চাল উত্তোলন করে বিক্রি করতে হয়। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ অনেক কম। চাল দ্রুত বিক্রি হয়ে গেলে অনেকে কিনতে না পেরে চলে যায়। 

নগরীর মিস্ত্রিপাড়া এলাকার মেসার্স দোল এন্টারপ্রাইজের মালিক ডিলার এস এম ফয়সাল আহমেদ রানা বলেন, সপ্তাহে মাত্র এক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। ২/৩ ঘন্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। ফলে অনেকের চাল না পেয়ে চলে যেতে হয়। 

নগরীর নতুন বাজার এলাকার কাগজী বাড়ি মোড়স্থ মেসার্স পলাশ এন্টারপ্রাইজের মালিক ডিলার ফাইজুল ইসলাম পলাশ বলেন, গেল বছর প্রতিদিন ৪০ জন ডিলার দুই টন করে চাল উত্তোলন করতেন। কিন্তু এখন ডিলার ও বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেক আনা হয়েছে। এখন শুক্রবার বাদে সপ্তাহে মাত্র এক টন ওএমএস’র চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। নগরীর মিস্ত্রীপাড়া বাজার এলাকায় ওএমএস’র চাল কিনতে আসা ক্রেতা বৃদ্ধ জাকির হোসেন ও জসীম মোল্লার সাথে হয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চাল কিনতে আইলাম। কিন্তু সব চাল বিক্রি হয়ে গেছে। নগরীর নতুন বাজার কাগজী বাড়ি মোড়স্থ এলাকায় চাল কিনতে আসা ক্রেতা বৃদ্ধা রোমেছা বেগম ও জবেদা আসেন চাল কিনতে কিন্তু সব চাল বিক্রি হয়ে যাওয়া তারা চাল না কিনতে না পেরে চলে যায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ