শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মহেশখালীতে সাইক্লোন শেল্টার ও বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ

সরওয়ার কামাল, মহেশখালী (কক্সবাজার): মহেশখালীর গোরকঘাটার চরপাড়া, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক সাইক্লোন সেন্টার ও বেড়িঁবাধ গুলি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াতে দ্বীপের মানুষ আতংকে করছে। মাতারবাড়ির রাজঘাট এলাকার ১ কিলোমিটার, বিসিক এলাকার ১ কিলোমিটার ও পশ্চিমের ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ একযুগ ধরে বিধ্বস্থ বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভাঙ্গন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাতারবাড়ির পশ্চিম পাশের বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই করুন। যে কোন মুহূর্তে পুরো বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে সাগরে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।
যার ফলে এলাকার ৮০ হাজার জনগণ হুমকির মুখে বিশেষ করে পশ্চিম পাশের বেড়িবাঁধ ও রাজঘাট এলাকার বেড়িবাঁধ।
দীর্ঘ এক যুগ ধরে বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে এই দ্বীপের প্রায় ১ হাজার ৫০০শ’ মানুষের করুণ মৃত্যু হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায়  বেড়িবাঁধের ৫টি অংশে  ভেঙে গিয়ে সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে। ১৭০০ শতাব্দীর শেষের দিকে সাগরের বুকে  জেগে ওঠা ৩৬ বর্গমাইল আয়তনেরই দ্বীপটি প্রতি বছর সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে বিলীন হয়ে ১৮ বর্গমাইলে এসে দাঁড়িয়েছে।
ষাটের দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকাকে লোনা জল ও জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে রক্ষার জন্য প্রায় ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে বর্তমানে এই বাঁধের বেহাল দশা।
বিভিন্ন ইউনিয়নের ১৯৯১ সনের ঘূর্ণিঝড়ের পর সাইক্লোন সেল্টার নির্মিত হলেও এসব আশ্রয় কেন্দ্রের অনেকগুলোই চলে গেছে দখলদারদের হাতে।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই সব আশ্রয় কেন্দ্রে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করছে, আবার কেউ কেউ ট্রলারে জাল রেখে গোডাউন, গরুর গোয়াল বানিয়ে দখলে রাখছে।
যা দূর্যোগ কালীন সময়ে জনসাধারণ আশ্রয় নিয়ে হিমশিম খেতে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, যে সব সাইক্লোন সেল্টার অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে তাদের বিরোদ্ধে বিহীত ব্যবস্থা ও অরক্ষিত বেড়ীবাধঁ এবং ঝুঁকিপূর্ণ সাইক্লোন সেল্টারের ঠিক করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ